জায়ফল সাধারণত গরম মশলা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। তবে জায়ফল এমন মশলা যে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি আমাদের ত্বক এবং চুলের সৌন্দর্যও বাড়ায়। একদিকে, জায়ফল ত্বকের দাগ এবং ফুসকুড়ি নিরাময় করতে সহায়তা করে। একই সঙ্গে চুলের অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে চুলের সৌন্দর্যও বজায় রাখে।
জায়ফলে উপস্থিত উপাদানগুলি মাথার ত্বককে সুস্থ রাখতে এবং খুশকি উপশম করতে সহায়তা করে। আপনি যদি প্রাকৃতিক উপায়ে আপনার চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে চান, তাহলে ব্যবহার করুন জায়ফলের হেয়ার মাস্ক। আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে জায়ফল ব্যবহার করে চুলকে সুন্দর করা যায়।
উজ্জ্বল চুলের জন্য- উজ্জ্বল এবং শক্তিশালী চুলের জন্য, আপনার প্রিয় শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনারে ১ চা চামচ জায়ফল পাউডার যোগ করুন এবং তারপর সেটা দিয়ে চুল শ্যাম্পু করুন। খুব শীঘ্রই আপনার চুল উজ্জ্বল হতে শুরু করবে, পাশাপাশি এটি চুলকে মজবুত ও শক্তিশালী করে তুলবে।
খুশকি দূর করতে- জায়ফলের তেল তৈরি করে সপ্তাহে এক বার করে চুলের ত্বকে প্রয়োগ করুন। এতে দূর হয়ে যাবে আপনার খুশকির সমস্যা। এটি শুধু ছিদ্রগুলির আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে না, বরং এটি একটি অ্যান্টিসেপটিক হিসাবেও কাজ করে যা খুশকি এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।
চুলকে ঘন করে তুলতে- জায়ফলের তেল চুলকে শক্তিশালী এবং উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করতে পারে। এটি চুল পড়া প্রতিরোধ করতে পারে এবং চুলের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করতে পারে, এমনকি চুলের শক্তিও বৃদ্ধি করতে পারে জায়ফলের তেল। এর জন্য আপনার মাথার ত্বকে কয়েক ফোঁটা জায়ফলের তেল নিয়ে ম্যাসেজ করতে পারেন।
চুলের সৌন্দর্য বজায় বাড়িতে তৈরি করুন জায়ফলের হেয়ার মাস্ক। এর জন্য প্রয়োজন ১ চামচ জায়ফল গুঁড়ো, ১ চামচ দই এবং ১ চামচ মধু। এই হেয়ার মাস্ক তৈরি করার জন্য এই তিনটি উপাদানকে একটি বাটিতে ভাল করে মিশিয়ে নিন। তারপর এই মাস্কটি চুলের গোড়া থেকে ডগা অবধি চুলের ওপর ভাল করে প্রয়োগ করুন। এরপর মাথায় একটি শাওয়ার ক্যাপ লাগিয়ে নিন এবং ১ ঘণ্টা মাস্কটা রেখে দিন। এরপর আপনার পছন্দ মত শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার করে এই মাস্ক ব্যবহার করলে আপনি নিজেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে আসলেমি! সহজ উপায়ে ত্বককে সুস্থ রাখবেন কীভাবে, জানুন
আরও পড়ুন: এবার পার্লার নয়, বাড়িতে বসেই খুব সহজে জেল নেল লাগাতে পারবেন আপনি, পদ্ধতি জেনে নিন…
আরও পড়ুন: সানস্ক্রিনের ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি…কিন্তু সানস্ক্রিন মাখার ক্ষেত্রে কিছু বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে!