জুলাই মাস পড়ে গেলেও দেখা নেই বৃষ্টির। আষাঢ়ে যেন আকাশ শরতের মতো হয়ে রয়েছে। সুতরাং গরম রয়েছে তার সঙ্গে চড়া রোদে বাইরে বেরোনো দায় হয়ে উঠেছে। এই সময়ে একঝলক টাটকা সুগন্ধ নাকে এলে, মনটাও ভাল হয়ে যায়। মুড পরিবর্তন করতে, গরমের দিনে নানা ধরনের সুগন্ধির ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে। সেই আতর এখন হাল ফ্যাশনে ‘পারফিউম’, ‘বডি স্প্রে’-তে পরিণত হয়েছে। কিন্তু কমেনি সুগন্ধির কদর। অফিস যাওয়ার জন্য যেমন রয়েছে রেগুলার ডিও তেমনই ডেটে যাওয়ার জন্যও রয়েছে স্পেশাল পারফিউম। কিন্তু সমস্যা হল, আপনি যেটাই ব্যবহার করেন তার গন্ধ কিছু সময় পর আর থাকে না। আসলে সুগন্ধি ব্যবহার করারও বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলো কী-কী চলুন দেখে নেওয়া যাক…
অনেকেই জামা কাপড়ের উপর স্প্রে করে নেন সুগন্ধি। কিন্তু এতে কার্যত কোনও লাভই হয় না। মূলত এই কারণেই গন্ধ বেশিক্ষণ থাকেও না। উপরন্ত জামায় সুগন্ধির দাগ পড়ে যায়। অনেকে আবার কব্জিতে সুগন্ধি মেখে নেন এবং দু হাত দিয়ে ঘষেন। এতেও কোনও লাভ হয় না। সঠিক জায়গায় সুগন্ধি ব্যবহার না করার জন্যই গন্ধ বেশিক্ষণ থাকে না। সঠিক সৌরভ পেতে হলে আপনাকে সঠিক জায়গায় সুগন্ধি ব্যবহার করতে হবে।
মূলত দেহের ‘পালস পয়েন্ট’-এ সুগন্ধি ব্যবহার করা উচিত। দেহের যে যে অঙ্গে হৃদ্স্পন্দন অনুভূত হয় সেই অঙ্গগুলোকে ‘পালস পয়েন্ট’ বলা হয়। যেমন কব্জি, গলার তলা, কানের পিছন, হাঁটুর উল্টো দিক কিংবা বাহুর ভাঁজ ইত্যাদি। এই সব জায়গায় আপনি হালকা করে স্প্রে করে নিতে পারেন পছন্দমতো সুগন্ধি। এতে গন্ধও যেমন টেকসই হবে তেমনই বদলে দেবে পুরো মুড।
গন্ধকে টেকসই করার জন্য সাত-আটবার ধরে স্প্রে করলেন, এতে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। বেশি সুগন্ধি ব্যবহার করলে এর গন্ধ নষ্ট হয়ে যায়। তখন সুগন্ধির আসল গন্ধ বের হওয়ার বদলে শরীর থেকে এর উগ্র গন্ধ ছাড়ে। যে কারণে অনেকেরই পারফিউম ব্যবহারের পর মাথা ধরে যায়। গন্ধের তীব্রতা অনুযায়ী তিন থেকে চার বার সুগন্ধি মাখুন। আতর ব্যবহার করলেও দু-তিনবারের বেশি তা ব্যবহার করবেন না।
এমন বহু মানুষ রয়েছেন যাঁরা ঘাম হচ্ছে বলে ডিয়োডোরেন্ট ব্যবহার করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা একদম ভুল পদ্ধতি। ঘামের উপর সুগন্ধি ব্যবহার করলে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তাই শুষ্ক ত্বকের উপর সুগন্ধি ব্যবহার করুন। এতে অনেকক্ষণ গন্ধ থাকবে।