ভাই-বোনের অটুট সম্পর্কের প্রতীক ভাইফোঁটা। সারা বছর ভাইয়ের সঙ্গে যতই মারামারি-খুনসুঁটি চলুক না কেন, এই একটা দিন কিন্তু পুরো হাওয়া ভাইয়ের পালে। তাঁর যত্ন করে ভাইফোঁটার আয়োজন করে বোনেরা। ভাইফোঁটা মিষ্টি ছাড়া তো হয় না কোনও ভাবেই। এক থালা মিষ্টি সাজিয়ে দেওয়া হয় আইয়ের সামনে। বাঙালির ভাইফোঁটায় কিন্তু আবার থাকে কিছু স্পেশাল মিষ্টির সম্ভার। যেমন ধরুন খাজা বা লবঙ্গ লতিকা কিন্তু থাকবেই। আর সেই লবঙ্গ লতিকা যদি বাড়িতে বানানো হয় তাহলে তো কথাই নেই। বাড়িতে লবঙ্গ লতিকা বানানো কিন্তু এমন কিছু কঠিন কাজও নয়। কী ভাবে বানাবেন লবঙ্গ লতিকা? রইল রেসিপি।
উপকরণ –
ময়দা, বেকিং পাউডার, বেকিং সোডা, চিনি, নুন, স্বাদমতো নুন, লবঙ্গ ও দুধ।
পুর বানানোর জন্য প্রয়োজন –
নারকেল কোরা, কনডেন্স মিল্ক, গুঁড়ো দুধ, এলাচ গুঁড়ো, ভাঙা কাজু (ছোট ছোট টুকরো করে নেবেন), কিশমিশ।
মিষ্টি সিরাপ বানাতে প্রয়োজন –
চিনি, জল, এলাচ গুঁড়ো।
প্রণালী –
প্রথমে পরিমাণ মতো ময়দা নিয়ে নিন। তাতে সাদা তেল, বেকিং পাউডার, বেকিং সোডা, নুন, চিনি দিয়ে মেখে নিন। অল্প অল্প করে জল দিয়ে হালকা হাতে মেখে নিন।
লবঙ্গ লতিকার পুর প্রথমে একটি ফ্রাইং প্যান নিয়ে নিন। তাতে সামান্য ঘি গরম করে নারকেল কোরা, গুঁড়ো দুধ, কনডেন্স মিল্ক, কাজু, কিশমিশ দিয়ে ভালো করে লাল লাল করে নিন। তাহলেই তৈরি আপনার লবঙ্গ লতিকার পুর।
সিরা বা চিনির সিরাপ তৈরীর জন্য একটি পাত্রের মধ্যে চিনির রস, জল এবং এলাচ গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে।
এবার মেখে রাখা ময়দা লুচির আকারে বেলে নিন। তাতে পরিমাণ মতো পুর দিয়ে দুই পাশ ভাল করে ভাঁজ করে নিয়ে লবঙ্গ লতিকার মতো আকার দিয়ে নিন।
এবার মাঝখানে একটি করে লবঙ্গ গেঁথে দিন। এবার কড়াইয়ে ঘি গরম করে ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে সেগুলি তুলে নিয়ে তৈরি করে রাখা সিরার মধ্যে দিয়ে ১০০ মিনিট রেখে তুলে নিলেই হল। তৈরি আপনার লবঙ্গ লতিকা।