দশমী মানেই মাকে বিদায় জানানোর পালা। সিঁদুরের রঙে রাঙা হয়ে ওঠার পালা। কিন্তু পুজোর পাঁচ দিনের মতোই দশমীর সাজে চমক থাকাটাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। বিজয়াতেও কী ভাবে হয়ে উঠবেন মোহময়ী? সবার মাঝে থেকেও কী ভাবে নিজেকে করে তুলবেন অনন্য? রইল টিপস।
১। দশমী মানেই সিঁদুর খেলা ‘মাস্ট’। সধবা মহিলা হলে মাকে বরণ করার বিষয়টিও আছে। এই সময় কী ভাবে সাজবেন? পুজোর আর চারটে দিনের মতো এই দিন বেশি জাঁকজমক পূর্ণ সাজের মধ্যে না যাওয়াই ভাল। তার চেয়ে বরং হালকা সাজেই বাজিমাত করুন।
২। শাড়ির রং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দশমীর লুকের জন্য আদর্শ কিন্তু সাবেকি সাজ আর লাল রং। লাল রঙের সিল্কের শাড়ি থাকতেই পারে আপনার পরনে। সঙ্গে সাদার কাজ থাকলে মন্দ হবে না। আর একদ্ম সাবেকি সাজ পছন্দ হলে পরনে থাকুক লাল পাড়ের সাদা অথবা ঘিয়ে রঙা শাড়ি।
৩। তবে শাড়ি যে পরতেই হবে এমন কোনও কথা নেই। না চাইলে সালোয়ার-কামিজ বেছে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে সাদাটাই বেশি মানানসই। অথবা সাদার কাছাকাছি কোনও প্যাস্টেল রঙা ‘এথনিক ওয়্যার’।
৪। ব্লাউজের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। যদি হাত বেশি স্থুল না হয় তাহলে অনায়াসে স্লিভলেস ব্লাউজ বেছে নিতে পারেন। স্বাছন্দ্য বোধ করলে পিঠ খোলা ব্লাউজ পরতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে ‘ভি কাট’ বা অন্য কোনও ধরনের চেয়ে ‘ইউ কাট’ ব্লাউজ বেশি মানাবে। স্তন ভারী হলে ‘ডিপ কাট’ ব্লাউজ এড়িয়ে চলুন। আর বেশি এমব্রয়ডারি করা ব্লাউজ না পরলেই ভাল।
৫। সধবা মহিলা হলে লাল শাড়ির সঙ্গে গায়ে রাখুন সোনার গয়না। তবে বেশি ভারী নয়। হালকা একটা নেকলেস, সঙ্গে কানে অল্প ঝোলা দুল। হাতে একটা আংটি থাকলে ভাল, আর একটা মোটা বালা, যে কোনও একটি হাতে। সঙ্গে শাখা-পলা, তবে তার উপর যদি সোনার কাজ থাকে তাহলে আরও ভাল। চাইলে একটা ‘নোস রিং’ বা নাক-ছাবি পরতে পারেন।
৬। পনিটেলের মতো করে বেঁধে নিতে পারেন চুল। বাঁধা চুল ভাল না লাগলে খোলা রাখতে পারেন। মেকআপ খুব চড়া করবেন না যেন। শুধু বেস মেকআপ যথেষ্ট। খালি সঙ্গে সুন্দর করে টেনে কাজল পরতে ভুলবেন না যেন। গালে হালকা গোলাপি ব্লাশার লাগাতে পারেন। তবে সৌন্দর্য্য কিন্তু সিঁদুরের ছোঁয়াতেই। বেশি ভুত হয়ে সিঁদুর খেলবেন না। বরং দুই গালে তিন আঙুলে করে সিঁদুরের একটি স্ট্রোক থাকলে বেশ লাগবে। আর কপালে ছোট্ট একটা সিঁদুরের টিপ। ব্যস তাহলেই পূর্ণ আপনার দশমীর লুক।