‘এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে’! দেবী দুর্গার বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে গিয়েছে মা লক্ষ্মীর আগমনের তোড়জোড়। কাল বাদ পরশু কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। ঘরে ঘরে আলপনা দিয়ে শাঁখ বাজিয়ে ডেকে আহ্বান জানানো হয় ধন-সম্পত্তির দেবীকে। নারকেল নাড়ু, চন্দ্রপুলী দিয়ে থালা সাজিয়ে নিবেদন করা হয় মাকে।
তবে কথায় বলে বাড়ি অপরিষ্কার করে রাখলে সেই বাড়িতে অলক্ষ্মীর বাস করেন। সেখানে লক্ষ্মীদেবী বেশিদিন থাকেন না। তাই দেবীর আশির্বাদ পেতে হলে অন্দরসজ্জায় কিন্তু নজর দিতেই হবে। তার উপর ঘরে ঘরে লক্ষ্মী পুজো হয়।
অনেকের বাড়িতে আমন্ত্রিত থাকেন অতিথিরা। তাই ঘর যদি ভাল করে না সাজান তাহলে দেখতেও ভাল লাগে না। লক্ষ্মী পুজোর আগে কী ভাবে ঘর সাজালে অতিথিরা প্রশংসা করতে বাধ্য হবেন জানেন?রইল টিপস।
১। লক্ষ্মীর পুজোর সঙ্গে আলপনার এক অমোঘ সম্পর্ক রয়েছে। লক্ষ্মী পুজোর জায়গায় আলপনা দেওয়াটা বাধ্যতামূলক। বাড়িতে ঢোকার দরজায়, ঘরের দরজায় দরজায় আলপনা দিতে হয়। চালের গুঁড়ো ভিজিয়ে সাদা আলপনা দিতে পারেন। আবার চাইলে রঙের ছোঁয়াও রাখতে পারেন। এখন আলপনা স্টিকার কিনতে পাওয়া যায়, চাইলে সেটাও ব্যবহার করতে পারেন।
২। বাড়ির যে জায়গায় ঠাকুর বসাবেন সেই জায়গাটি ভাল করে সাজিয়ে নিন। ছোট মূর্তি হলে থার্মোকল দিয়ে একটি অস্থায়ী বেদী বানিয়ে নিতে পারেন। বড় ঠাকুর হলে সেই জায়গাটি ভাল করে সাজিয়ে নিন। জলচৌকি উপর মূর্তি বসালে সেই চৌকিতে আলপনা দিয়ে নিন।
৩। বাড়িতে পুজো হবে আর আলোতে চমক থাকবে না তা কখনও হয় বলুন? বাল্ব, টুনি আলো বা বোতল লাইটে কিন্তু হতে পারে কামাল। এখন আরও নানা ধরনের টেম্পোরারি লাইট পাওয়া যাওয়া। অনলাইনে দেখেই আনিয়ে নিন। নিজের হাতেই সাজিয়ে নিন অন্দরমহল।
৪। লক্ষ্মী পুজোয় ঘর সাজানোতে ফুলের ব্যবহার করতে ভুলবেন না যেন। কমলা, হলুদ গাঁদা ফুলের চেন কিনে এনে সেই দিয়ে অনায়াসে সাজিয়ে ফেলতে পারেন বাড়ির বাইরে থেকে অন্দরমহল। এতে দেখতে ভাল লাগবে, আবার খরচ কম। চাইলে প্লাস্টিকের ফুল দিয়েও সাজিয়ে নিতে পারেন অন্দর।