Patanjali: আপনার ফলে কোনও ক্ষতিকর কীটনাশক নেই তো? বলে দেবে পতঞ্জলির বায়োসেন্সর
Patanjali: গবেষণায় দেখা গেছে যে বায়োসেন্সর খাদ্যদ্রব্যে ক্ষতিকারক পদার্থ সনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে। এটি পরিবেশে ক্ষতিকারক পদার্থও সনাক্ত করতে পারে। বায়োসেন্সর দ্রুত এবং সঠিক ফলাফল প্রদান করতে পারে। ব্যবহার করা অত্যন্ত সহজ।

চাষ জমিতে ফল-সবজিকে পোকামাকড়ের আক্রমণের হাত থেকে রোধ করার জন্য কীটনাশক স্প্রে করা হয়। পোকামাকড়ের হাত থেকে নিস্তার পেলেও ফল ও সবজিতে অনেক সময় কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ থেকে যায়। যা সহজে খালি চোখে ধরা পড়ে না। কিন্তু স্বাস্থ্যের বড় ক্ষতি করতে পারে। প্রতিদিনের এই সমস্যা সমাধানে বড় পদক্ষেপ করেছে পতঞ্জলি। হরিদ্বারের পতঞ্জলি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পতঞ্জলি ভেষজ গবেষণা বিভাগ এই সব ক্ষতিকারক উপাদান সনাক্তকরণের জন্য একটি গবেষণা করেছে। গবেষণাটি কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ, মাইকোটক্সিন এবং ভারী ধাতু সনাক্তকরণে বায়োসেন্সরের ভূমিকা বর্ণনা করে। মাইক্রোকেমিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণা।
গবেষণায় দেখা গেছে যে বায়োসেন্সর খাদ্যদ্রব্যে ক্ষতিকারক পদার্থ সনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে। এটি পরিবেশে ক্ষতিকারক পদার্থও সনাক্ত করতে পারে। বায়োসেন্সর দ্রুত এবং সঠিক ফলাফল প্রদান করতে পারে। ব্যবহার করা অত্যন্ত সহজ। এটি ফল ও সবজিতে কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ, মাইকোটক্সিন এবং সীসা ও পারদের মতো ভারী ধাতু সনাক্ত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এইভাবে, বায়োসেন্সর ব্যবহার করে, স্বাস্থ্যের ক্ষতিও কমানো যেতে পারে।
বায়োসেন্সর কী এবং কীভাবে কাজ করে?
এটি একপ্রকার বিশেষ জৈব সেন্সর যা অণুজীব সনাক্ত করার জন্য ব্যবহৃত এক যন্ত্র বিশেষ। এটি সেন্সর, ট্রান্সডিউসার এবং ইলেকট্রনিক সিস্টেম দিয়ে তৈরি। এগুলির অনেক প্রকার রয়েছে যেমন অ্যাম্পেরোমেট্রিক বায়োসেন্সর, অপটিক্যাল বায়োসেন্সর, নিউক্লিক অ্যাসিড বায়োসেন্সর, এজি এবং এউ ভিত্তিক বায়োসেন্সর এবং ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল বায়োসেন্সর। এর মধ্যে, Ag এবং Au ভিত্তিক বায়োসেন্সর কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ সনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে। একই সময়ে, ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল বায়োসেন্সরগুলি ফল এবং সবজিতে বিষাক্ত পদার্থ এবং ভারী ধাতু সনাক্ত করতে পারে।
তাদের সাহায্যে, কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ সনাক্ত করা যেতে পারে। যদি ফল এবং সবজিতে এগুলি সহজেই সনাক্ত করা যায়, তাহলে অবশিষ্ট কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ অপসারণ করা যেতে পারে। এ ছাড়া যেসব ফল ও সবজিতে উচ্চ মাত্রার কীটনাশক রয়েছে, সেগুলো বাজারে আনা উচিত নয়। কারণ এগুলো খেলে আপনার স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে। বায়োসেন্সর দ্রুত এবং নির্ভুল ফলাফল প্রদান করতে বিশেষ ভাবে সক্ষম। এটি ব্যবহার করাও অত্যন্ত সহজ।
