Healthy Snacks: বাজারে এল নয়া হেলদি স্ন্যাকস! পেট ভরবে চটপট, ভুলে যাবেন অস্বাস্থ্যকর চিপস-চকোলেটও!
Nutritious Cookies: খিদের মুখে মিষ্টি, জাঙ্ক ফুড গ্রহণ করার প্রবণতা রয়েছে। খাবার খাওয়ার পরও ফের চিপস-চকোলেট খাবার খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে অধিকাংশের। এমন পরিস্থিতিতে হাল ধরতে এগিয়ে এলেন কলকাতার রুক্মিণী বন্দ্যোপাধ্য়ায়। পেশায় আইনজীবী হলেও তিনি একজন মা। তাঁর অনুপ্রেরণায় কলকাতা ছাড়িয়ে দেশের কোণে কোণে ছড়িয়ে পড়ছে সুস্বাদু, স্বাস্থ্যকর ও প্রাকৃতিক কুকিজ ।
স্কুলের টিফিনে রোজ কী কী দেওয়া যায়? এই কঠিন চিন্তা সব মায়েদের। চকোলেট, চিপস, মিষ্টি, কাটা ফল, বিস্কুট বা পাউরুটি টোস্ট, চটজলদি বানিয়ে দেওয়ার জন্য এই খাবারগুলি ছাড়া মাথায় কোনও কিছুই আসে না। পরোটা, ম্যাগি বা পাস্তাও প্রতিদিন দেওয়া যায় না। তাহলে স্বাস্থ্যকর খাবার কী কী দেওয়া যেতে পারে? এছাড়া বাচ্চাদের মনের মতো টিফিন না দিলে সেই টিফিন ফেরত আসবে নিশ্চিত। দুষ্টু খিদের পেটে হামেশাই চলে যায় প্রচুর চকোলেট, চিপস। ফলে না চাইতেও বাচ্চাদের সঠিক স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার দেওয়া সম্ভব হয় না। চটজলদি কোনও খাবার যদি পেট ভরাতে পারে, তার হদিশ পেতে নেটদুনিয়া তোলপাড় করে দেন হতাশ মায়েরা।
ছোট থেকে যে অভ্যেস করা হবে, সেই অভ্যাস ও রুটিন মেনে বড় হওয়া পর্যন্ত মেনে চলে শিশুরা। করোনা অতিমারীর পর মানুষের মধ্য়ে এক অদ্ভূত পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। সব কিছুরই ভাল-মন্দ রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে ভালো দিক হল, স্বাস্থ্য সচেতন। সেই অনুভূতি একটি শিশুর মধ্যেও দেখা গিয়েছে। স্বাস্থ্যকর জীবন মেনে চলতে পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাবার খাওয়ার অভ্যেস রয়েছে অনেকের। তবে তার মধ্যে ভেজাল ও রাসায়নিকযুক্ত খাবারে ছড়াছড়ি। কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত, তা বোঝার বালাই নেই। ২০২২ সালে এক মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল, সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে দেশে ব্যাপকভাবে বাড়ছে ওবেসিটির সংখ্যা। ১৯৯০ সালে দেশের প্রায় ৯.৮ শতাংশ মহিলা ও ৫.৪ শতাংশ পুরুষ ওবেসিটিতে আক্রান্ত। ২০২২ সালে সেই সংখ্যার বদল হয়েছে বিস্তর। প্রায় ৭০ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ওবেসিটির সংস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালে ভারতে এক সমীক্ষা চালায় গুগুল। সেখানে ওবেসিটিতে আক্রান্ত প্রায় ৮৫ শতাংশের কাছাকাছি। আর এর পিছনে রয়েছে প্রচুর কারণ। স্বাস্থ্যকর খাবার কখন কী কী খেতে হবে, তা অনেকেই জানেন না। খিদের মুখে মিষ্টি, জাঙ্ক ফুড গ্রহণ করার প্রবণতা রয়েছে। খাবার খাওয়ার পরও ফের চিপস-চকোলেট খাবার খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে অধিকাংশের। এমন পরিস্থিতিতে হাল ধরতে এগিয়ে এলেন কলকাতার রুক্মিণী বন্দ্যোপাধ্য়ায়। পেশায় আইনজীবী হলেও তিনি একজন মা। তাঁর অনুপ্রেরণায় কলকাতা ছাড়িয়ে দেশের কোণে কোণে ছড়িয়ে পড়ছে সুস্বাদু, স্বাস্থ্যকর ও প্রাকৃতিক কুকিজ । দেখতে চিপসের মতো, কিন্তু পেট ভরা থাকবে অনেকক্ষণ। পুরোটাই তৈরি হয়েছে জোয়ার-বাজরা, ওটস ও গুড় দিয়ে। তাতে কৃত্রিম ফ্লেভার, রঙ বা প্রিজারভেটিভ উপাদানের লেশমাত্র নেই। অসাধারণ স্বাদের এই কুকিজ তৈরি করা হচ্ছে বাচ্চা থেকে বুড়ো, সকলের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে। প্রতিটি কামড়েই পাওয়া যাবে এক সুষম আহারের তৃপ্তি।
শুধু বাচ্চার টিফিন বক্সে নয়, অফিসের কাজে এনার্জি আনতে, অসময়ে মুখোরচক খাবারের হাতছানি দিলে এই কুকিজ বা চিপস খেতে পারেন নিশ্চিন্ত মনে। বাজারচলতি অস্বাস্থ্য়কর খাবারকে যদি এড়িয়ে চলতে চান, আর বিকল্প খুঁজে থাকেন, তাহলে এমন অর্গ্যানিক খাদ্য়বস্তু খেতে পারেন যখন-তখন।