আর মোটে ১৫ দিন পরই শুরু হচ্ছে বিয়ের মরশুম। বৈশাখেই যাদের সানাই বাজবে তাঁদের বাড়িতে এখন প্রস্তুতি তুঙ্গে। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। বিয়ের দিন কেমন শাড়ি পরবেন, আইবুড়েভাত, রিসেপশনে কী পরবেন হবু কনেরা ইতিমধ্যে তা ঠিক করে নিয়েছেন। এদিকে গরম যেভাবে বাড়ছে তাতে একটানা বেনারসি শাড়িতে সেজে গুজে বসে থাকা বেশ কষ্ট। এমনইি বেনারসি শাড়ি বেশ ভারী, তার সঙ্গে মেকআপ, গয়না, ফুলের মালা-সব মিলিয়ে টানা ৮-৯ ঘন্টা বিয়ের কনের সাজে বসে থাকতে খুবই কষ্ট হয় তাঁদের। বিয়ের দিন লাল শাড়ি, লাল ওড়নাতে দেখতে বাঙালি মেয়েদের যে একদম অন্যরকম লাগে এ নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। তবে গরমের কথা ভেবে অনেকেই একটু অন্যভাবে সাজতে চান।
আর তাই তাঁদের জন্যই রইল আজ টিপস। বিয়ের দিন লাল বেনারসি ছাড়াও যদি এই রঙের কাঞ্জিভরম, গাদোয়াল, বালুচরি পরেন তাহলেও কিন্তু দেখতে বেশ লাগে। চলতে পারে কাঞ্চিপুরমও। আর এই সব শাড়িতে খুব সুন্দর করে মেকআপও করা যায়। বাজারে হাল ফ্যাশানের যত রকম শাড়ি থাকুক না কেন সিল্ক শাড়ির কিন্তু কোনও তুলনা নেই। সিল্কের শাড়ির মধ্যে আলাদা একটা আভিজাত্য থাকে। আর সিল্কের শাড়িতে সব মেয়েকেই দেখতে সুন্দর লাগে। তা যেমনই বয়স হোক না কেন। কাঞ্জিভরম, গাদোয়াল এই সব শাড়ির দাম সাধারণ শাড়ির থেকে অনেকটাই বেশি। দাম শুরু হয় মোটামুটি ৫ হাজার টাকা থেকে। আর বিয়ের জন্য শাড়ি কিনতে গেলে সেই দাম ১০ হাজার পেরিয়ে যায়। যেহেতু চৈত্র সেল চলছে তাই এখন থেকে কিনে রাখতে পারেন। কাঞ্জিভরম, কাঞ্চিপুরম বা গাদোয়াল শাড়িতে এমন কিছু রং পাওয়া যায় যা পরলে দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। সেই সঙ্গে বিয়ের সন্ধ্যায় এই শাড়ির সঙ্গে সোনার গয়না, জুইঁ এর মালায় ভীষণ স্নিগ্ধ লাগে দেখতে। বিশেষত সিঁদুর দানের পর সেই সব শাড়ির সাজ আরও অনেক বেশি খোলতাই হয়।
লাল, কমলা, বেগুনি, সবুজ, নীল, হলুদ, গোলাপি- যে কোনও রং বেছে নিতে পারেন। এছাড়াও পরতে পারেন প্যাস্টেল শেডও। শাড়ির সঙ্গে সুন্দর করে ব্লাউজ বানিয়ে নিন। এই সব শাড়ি বেশ হালকা। সারাদিন পরে থাকলে কোনও কষ্ট হয় না। অনেক সহজেই ম্যানেজ করা যায়। আর তাই পছন্দের রঙে পছন্দের শাড়িয়ে মাতিয়ে দিন বৈশাখের বিশেষ সন্ধ্যা।
গ্রাফিক্স
অভীক দেবনাথ