যতই নানা পোশাক আসুক না কেন শাড়ির থেকে ভাল অন্য আর কোনও কিছুই হয় না। বিয়েবাড়িতে অনেকেই লেহঙ্গা, ড্রেস, গাউন অনেক কিছু পরেন। কিন্তু শাড়ির আভিজাত্যই আলাদা। আজকাল অনেক মেয়েই শাড়ি পরতে পারেন না ভিজে। ভরসা সেই পার্লার। এছাড়াও রেডি টু ওয়্যার শাড়ি পাওয়া যায়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেগুলি সব পার্টিওয়্যার। ট্র্যাডিশন্যাল শাড়ি এই রকম শাড়ির মধ্যে পাওয়া যায় না। পাটোলা, বেনারসি, কাঞ্জিভরম, কাঞ্চিপুরম, গাদোয়াল, ইক্কত প্রতিটি শাড়ির ঐতিহ্য আর গুরুত্ব একেবারেই অন্যরকম। এইসব শাড়ি পরলে সুন্দর করে সাজতে হয়। পার্লারে পয়সা খরচ করে শাড়ি পরতে সব সময় ভাল লাগে না আর সেই সুযোগও সব সময় থাকে না। তাই রইল প্রয়োজনীয় কয়েকটি টিপস। এই টিপস মেনে শাড়ি পরলে দেখতে লাগবে সুন্দর।
শাড়ি পরার আগে জুতো পরুন
শাড়ির সঙ্গে অধিকাংশই হিল পরেন। আর তাই জুতো পরে নিয়ে তবেই শাড়ি পরুন। হাই হিল পরলে সেই রকম উচ্চতায় শাড়ির কুঁচি রাখুন। আর শাড়ির হিল দেখে সেইভাবে প্লিট করে রাখুন।
শেপওয়্যার পেটিকোট পরুন
শাড়ি পরার জন্য এখন অনেক রকম শেপওয়্যার পাওয়া যায়। এই সব শেপওয়্যারের সঙ্গে শাড়ি পরলে দেখতে সুন্দর লাগে। শরীরের প্রতিটি কার্ভও এতে ভাল বোঝা যায়। আর শেপওয়্যার পরতেও কোনও ঝামেলা নেই। স্কার্টের মতো পরে নিলেই হল। শাড়িতে কার্ভ যত বেশি ভাল ভাবে বোঝানো যায় ততই বেশি দেখতে সুন্দর লাগে।
শাড়ি পরার আগে প্লিট করে নিন
শাড়ি পরার আগে প্লিট করে নিন। এতে সব প্লিট সুন্দর ভাবে বসে। দেখতেও ভাল লাগে। প্লিট সুন্দর হলে তখন ছড়িয়ে বসা যায়। যখন হাতে কম সময় থাকবে তখন আগে প্লিট করে নেবেন। এতে শাড়ি পরা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
সঠিক শাড়ি বাছুন
কেমন শাড়িতে আপনাকে ভাল লাগে তা বাছাই করে নেওয়া খুব জরুরি। সিল্ক, কটন, যেমন শাড়ি আপনি পরতে চান সেই রকমই কিছু বেছে নিন। সব শাড়িতে সকলকে ভাল লাগে না। তাই যে শাড়িতে নিজেকে ভাল মানাবে বলে মনে হয় সেই রকমই শাড়ি বেছে নিতে হবে। শিফন, জর্জেট এসব শাড়িও বেছে নিতে পারেন চাইলে। শাড়ির সঙ্গে অনেকেই এখন বেল্ট, দুপাট্টা দিয়ে স্টাইলিং করেন। চাইলে আপনিও তা করতে পারেন।