মাঝে আর মাত্র কয়েকটা দিন। পুজোর (Durga Puja 2022) আগে জামাকাপড় কেনার হিড়িক পড়ে গিয়েছে সব দোকানে দোকানে। বাঙালির প্রিয় ও সবচেয়ে বড় উত্সব হলে দুর্গাপুজো। আর সেই উত্সবে ৪ দিনের পুজোয় চুটিয়ে মজার পাশাপাশি ট্রেন্ডি সাজের ব্যাপারে খুঁতখুঁতানি কম থাকে না। তা সে পুরুষ বা মহিলা উভয়েরই ক্ষেত্রে। বাঙালিদের যে কোনও রীতি-আচারে লাল পাড় সাদা শাড়ির ঐতিহ্য় (Ethnic Saree) থাকবেই। তবে এবার বাঙালিয়ানায় একটু ট্যুইস্ট আনতে পারেন। পুজোর চারদিন বাঙালি ছোঁয়ার পাশাপাশি যদি দক্ষিণ ভারতের ছোঁয়া থাকে তাহলে মন্দ হবে না। কারণ দুটি ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি (Traditional Culture) যদি একসঙ্গে মিলিত হয় তখন সকলের নজর সেইদিকেই পড়ে। দক্ষিণ ভারতে (South Indian Style) লাল পাড়ের শাড়ি নয়, সেখানে সোনালী পাড় সাদা শাড়ি বেশি প্রচলিত ও জনপ্রিয়। এমন ট্র্যাডিশনাল শাড়িকে কাসাভু শাড়ি বলে। দুর্গাপুজোয় যদি একটু অন্যরকম সাজতে ইচ্ছে করে, তাহলে একন থেকেই শপিং প্ল্যানিং করুন। যদি দক্ষিণী স্টাইলে নিজেকে দেখতে চান তাহলে তার জন্য রইল বিশেষ কিছু টিপস
কাসাভু শাড়ি- উত্সব পার্বণে, বিশেষ করে পুজোর সময় এথনিক পোশাককেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। তবে বাঙালিয়ানায় আনুন দক্ষিণী স্টাইল। লাল পাড় সাদা শাড়ির বদলে পড়ুন ঐতিহ্য়বাহী কাসাভু শাড়ি। চিরন্তন ক্লাসিক। সোনালী রঙের পাড়ের সঙ্গে সাদা বা অফওয়াইট রঙের শাড়ির সঙ্গে যে কোনও ধরনের ব্লাউজ পরতে পারে। দক্ষিণী স্চাইলে হেয়ারবান করে তাতে ফুল গুঁজে অন্যরকম লুক আনতে পারেন।
স্কার্ট ও টপ- সুতির, সিল্ক-মিশ্রিত ফেব্রিকের তৈরি স্কার্টের সঙ্গে ম্যাচিং টপ পরতে পারেন। পশ্চিমী পোশাক নয়, একেবারে নিখাদ দেশি স্টাইলে। প্লেন, জারি-বাট্টির কাজ করা বা জ্য়াকার্জ প্যাটার্নের হতে পারে। বিশেষ করে হলুদ, গোলাপীর মত উদ্জ্বল রঙের এই পোশাকটি হয়ে থাকে। চাঁদবালী কানের দুল বা ঝুমকোর এর সঙ্গে দারুণ মানায়। পুজোর চারদিনের মধ্যে যে কোনও একদিন এই স্টাইলে নিজেকে সাজাতে পারেন।
হাফ শাড়ি– উত্সব বা বিয়ের অনুষ্ঠানের মত ইভেন্টে দক্ষিণ পোশাক বেছে নিতে হলে এই হাফ শাড়ির বেশ বেছে নিতে পারেন। দক্ষিণে এই ধরনের পোশাক অত্যন্ত প্রচলিত ও প্রধানও বটে। হাফ শাড়ি অল্পবয়সি মেয়ে বা মহিলা উভয়েই পড়তে পারেন। ঐতিহ্যবাহী বড় পাড়ের হাফ সিল্ক শাড়ি পরতে পারেন। ঐতিহ্যবাহী দক্ষিণ ভারতীয় শৈলীর গয়না যেমন কুন্দন, জরুয়া এই পোশাকের সঙ্গে দারুণ মানায়।
বেনারসি শাড়ি- বাঙালি মতে বিয়ে করলে বেনারসি শাড়ির বৈচিত্র দেখার মত। পুজোর সময়েও বেনারসি শাড়ি বেছে নিতে পারেন। এমনকি হাফ হাতা ব্লাউজের সঙ্গেও এই ভারী শাড়ি পরতে পারেন। অফবিট লুকের জন্য বোট নেক ও স্লিভলেস প্যাটার্নের ব্লাউজ বানাতে পারেন। মুক্তোর গয়না, কানের দুলের সঙ্গে স্টেটমেন্ট জুয়েলারিও বেশ জমে।
তসর সিল্ক শাড়ি- তসরের সিল্ক শাড়িতেও পুজোতে নিজেকে স্নিগ্ধ সাজে সাজাতে পারেন। এই ধরনের শাড়িগুলি অনেক হালকা ও সুতির ডিসেন্ট কাজ করা থাকে। পুজোয় একদিন পরতে হলে পছন্দমত তসরের সিল্ক শাড়ি বেছে নিতে পারেন। সঙ্গে ম্যাচিং ব্লাউজের জন্য বা এমব্রয়ডারির কাজ করা ব্লাউজ পরতে পারেন। ঐতিহ্যবাহী সোনার ফিলিগ্রি গয়না দিয়ে সাজলে লুকটাই পুরো পরিবর্তন হয়ে যাবে।