‘নিজেকে ভালবাসো তুমি এবার’- গানের কথায় এমন প্রতিশ্রুতি বার বার উঠে আসলেও তার সঠিক বাস্তবায়ন নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। সমাজের অলিখিত প্রত্যাশা পূরণে এতটাই সময় চলে যায় যে নিজের কথা ভাবার জন্য সময় থাকে না। যতই মুকে মুখে আধুনিকতার বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক না কেন দিনের শেষে সকলে ওই একটি বিন্দুতেই মিলতে চান। খুব কম মানুষই আছেন যাঁরা সমাজের স্রোতের বাইরে গিয়ে নিজের মত করে হাঁটতে চান। কারোর কোনও তোয়াক্কা না করে আক্ষরিক অর্থেই পাত্তা দেন নিজের ভাললাগাকে। সেই তালিকায় রয়েছেন ক্ষমা বিন্দু। ঠিক এক বছর আগে গুজরাতের ২৪ বছর বয়সী ক্ষমা নিজেই নিজেকে বিয়ে করে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। গত বছর এইদিনে সারাদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং ছিল একটা হ্যাশট্যাগ: ‘সোলোগ্যামি’। ভারতের ইতিহাসে প্রথম হলেও বিশ্বে কিন্তু এমন নজির রয়েছে।
আজ, রবিবার ক্ষমা তাঁর নিজস্ব স্টাইলেই বিবাহবার্ষিকীর উদযাপন করছেন। গত এক বছরে ক্ষমতার জীবনে কী কী পরিবর্তন এসেছে তা একটি ছোট্ট ভিডিয়ো বার্তার মাধ্যমে তিনি তুলে ধরেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। গুজরাতি এই কন্যা তাঁর বুকের ঠিক মাঝখানে একটি ট্যাটু করিয়েছেন। যেখানে বাংলায় লেখা- ‘একলা চলো রে’। ক্ষমার বিবাহ বার্ষিকীর এই বিশেষ ভিডিয়ো দেখে অজস্র মানুষ তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়াতে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ক্ষমা-ই ভারতে প্রথম ঘোষিত সোলোগামিস্ট। গত বছর নিজের আত্মীয় আর কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের নিয়ে তাঁর বাড়িতেই হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। একেবারে হিন্দু রীতি মেনে লাল লেহঙ্গা, মঙ্গলসূত্র, মানটিকা আর চূড়ায় সেজে বিয়ে করেন। বিয়ের আসনে সাতপাক ঘোরা থেকে শুরু করে গণেশ-লক্ষ্মীর পুজো, সিঁদুর তদান, মালাবদল কিছুই বাকি থাকেনি। শুধু বিয়ে নয়, তার আগে আচার মেনে যথারীতি গায়ে হলুদেরও অনুষ্ঠান হয়। আর সেই হলদির অনুষ্ঠানও খুব জাঁকজমক ভাবেই করেছিলেন ক্ষমা। প্রথম থেকেই তাঁর মায়ের পূর্ণ সমর্থন ছিল। যদিও এই সব ছবি জনসমক্ষে আসতে নিন্দুকেরা কম কটাক্ষ করেনি তাঁকে। গত বছর খ্রিস্টমাসের ছুটি কাটাতে ‘সোলো’ ট্রাভেলার হিসেবে কলকাতায় এসেছিলেন ক্ষমা। কলকাতার মেট্রো, হলুদ ট্যাক্সি, বিভিন্ন মন্দির, চার্চ আর সোনাগাছির মহিলাদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন ছবি দিয়ে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে।