উমা ফিরেছেন বাপেরবাড়িতে, আবার এক বছরের অপেক্ষা। মনখারাপ তো আছেই। এই পুজোকে ঘিরে কত রকমের পরিকল্পনা। শুধুমাত্র পুজোর কটাদিন ছুটি পেতে আর কাছের বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে অনেক আগে থেকে তৈরি হয়ে যায় ছুটির প্ল্যান, টিকিট কাটা। দশমীর পর আবার যে যার গন্তব্যে ফিরতে শুরু করেছেন। আজ হলেই শেষ বিসর্জন পর্ব। শনিবার রাজ্যজুড়ে বাড়িতে বাড়িতে পালন করা হবে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। বাংলার প্রায় সব বাড়িতেই এ দিন মা লক্ষ্মীর আরাধনা হয়। লক্ষ্মীর কৃপালাভ করতে যে যার সাধ্যমত আয়োজন করেন পুজোর। সাধারণত বাড়ির মেয়েরাই লক্ষ্মীর পুজো করেন। এদিন সকাল থেকে বাড়ির প্রতিটি কোণা সুন্দর করে পরিষ্কার করা হয়। এরপর সন্ধ্যেতে আলপনা দিয়ে, ফল-প্রসাদ-ভোগ নিবেদন করে হয় লক্ষ্মীপুজো।
মা লক্ষ্মীর কৃপা তখনই পড়ে যখন সবকিছু থাকে সুন্দর করে সাজানো। লক্ষ্মী পুজো মানেই পরিচ্ছন্নতা। আর তাই পুজোতে বসার আগে বাড়ির আশপাশ এবং বাড়ির ভিতর সুন্দর করে পরিষ্কার করতে ভুলবেন না। একই সঙ্গে ঘর গুছিয়েও রাখতে হবে। লক্ষ্মী পুজোয় বসার আগে সুন্দর করে চুল আঁচড়ে, টিপ পরে, আলতা পরে পুজোয় বসেন বাড়ির মেয়েরা। এদিন অনেকেই অনেক রকম সাজেন। তবে পুজো পার্বণের দিনে ট্র্যাডিশন্যাল যে কোনও পোশাকেই দেখতে বেশি ভাল লাগে।
লাল শাড়ি কিংবা লাল-পেড়ে সাদা শাড়ি বাঙালিদের ঐতিহ্য। লক্ষ্মীপুজোর দিনে অনেকেই এমন শাড়ি বেছে নেন। শুধু তাই নয়, এদিন উজ্বল রঙের যে কোনও শাড়িতেই দেখতে ভাল লাগে। লাল, লালের বিভিন্ন শেড, সবুজ- এসব রং চিরন্তন। পুজোয় অঞ্জলিতে এই রকম শাড়ি পরলে দেখতেও বেশ লাগে। সিল্কের যে কোনও শাড়ি যে কোনও অনুষ্ঠানে দেখতে ভাল লাগে। আর এই সব শাড়ির মধ্যে একটা আভিজাত্যও থাকে। তাই সিল্কের শাড়ি, মানানসই গয়নাতে সাজতে পরেন। আবার ইমিটেশনের গয়নাও ম্যাচিং করে পরতে পারেন। এদিন যে রঙেরই শাড়ি পরা হোক না কেন যদি ব্লাউজ লাল রঙের হয় তাহলে আরও বেশি সুন্দর লাগে দেখতে।
যে কোনও সাজই ভাল লাগে যদি মন থেকে সাজা হয়। পুজোর দিনে তাই মন থেকেই সাজুন। মন যদি খুশি থাকে তাহলে শান্তিতে পুজো পাঠ করতে পারবেন আপনিও। প্রিয় তারকাদের মত শাড়ি গয়নায় সাজতে পারেন আপনিও।