উৎসবের মরশুম শুরু হয়েছে সেই গণেশ চতুর্থী থেকে। তারপর জন্মাষ্টমী, দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো- উৎসবের কোনও বিরাম নেই। চারদিনের পুজোর শেষে মন খারাপ তো হয়ই। তবে সেই মনখারাপ অনেকখানি ঢেকে দেয় বিজয়ার বৈঠক। শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা বার্জা জানিয়ে কোলাকুলি, মিষ্টিমুখ এসব তো হয়ই। এছাড়াও বিভিন্ন সংখ্যা, অফিস আয়োজন করে দশমীর আড্ডার। সেই আড্ডায় সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া থাকে জমিয়ে। সকলে সুন্দর করে সাজেন বিশেষ এই দিনটার জন্য। আর মাত্র কয়েকদিন পরই কালীপুজো, সেই সঙ্গে দীপাবলি। উত্তর ভারতে জমজমাট করে হয় দিওয়ালির আয়োজন। তবে এখন সব রাজ্যেই সুন্দর করে দীপাবলি পালন করা হয়। বিভিন্ন অফিসেও থাকে অনেক রকম অনুষ্ঠান। দীপাবলির সাজগোজের বিশেষ থিমও থাকে।
আলোর উৎসবে সকলেই রঙিন হয়ে সাজতে চান। আর দীপাবলির অন্যতম অঙ্গ হল রঙ্গোলি। আবির দিয়ে সুন্দর আলপনার মাধ্যমে মেঝেতে রঙ্গোলি ফুটিয়ে তোলা হয়। সঙ্গে থাকে বাহারি প্রদীপ, মোমবাতি। এদিন অনেক বাড়িতেই লক্ষ্মী-গণেশের পুজো হয়। ফলে আয়োজনও থাকে জমজমাট। যখন আলোর উৎসব তখন আলোর সঙ্গে মানানসই রঙের পোশাক বাছুন। বিভিন্ন উজ্জ্বল রং যেমন লাল, কমলা, গোলাপি, হলুদ, সবুজ, নীল এসবের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। শাড়ি, সালোয়ার, কুর্তি, লেহঙ্গা কেনার আগে তাই এসব টিপস মাথায় রাখুন। এমন রঙের পোশাকে এই আলোর গিনে দেখতে খুবই সুন্দর লাগবে।
ইদানিং ফ্যাশনে এই গোলাপি রং বেশ চলছে। তাই অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্তর মতো এই রঙের একটি শাড়ি পরতে পারেন। সিক্যুইনের কাজ দীপাবলিতে দেখতে বেশ লাগে। স্লিভলেস ব্লাউজ আর ঝুমকোর সঙ্গে স্টাইলিং করতে পারেন। এই রঙের সালোয়ার বা লেহঙ্গাও দেখতে বেশ লাগে। ইশার মতো এমন নীল রঙের সিল্ক সিলভারের গয়না দিয়ে পরতে পারেন। এতেও কিন্তু সুন্দর লাগবে। সব সময় দেখতে ভাল লাগে কালো। কালো রঙের শাড়িও পরতে পারেন। দীপাবলি আলোর উৎসব, আর তাই এমন দিনে চেষ্ট করবেন সিন্থেটিক বাদে অন্য কিছু পরতে। সিল্ক, জর্জেট, শিফন এসব শাড়িই এদিন দেখতে বেশি ভাল লাগে। কেনার আগে এসব কিন্তু অবশ্যই মাথায় রাখবেন।