Sweat Marks: ভ্যাপসা গরমে জামায় জেদি হলুদ দাগে নাজেহাল? এগুলি করলে আর হবে না
How to Prevent: গরমে বেশি হালকা নয়, গাঢ় বা প্রিন্টেড জামাকাপড় পরুন। ধূসর, নীল ও উজ্জ্বল রংয়ের তুলনায় গাঢ় রংয়ের পোশাকে দাগ কম বোঝা যায়। তাতে ঘাম হলেও ততটা স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে না।
গ্রীষ্মের দিনগুলিতে (Summer Season) ঘাম নির্গত নিয়ে নাজেহাল হয়ে যান অধিকাংশ। যাঁদের একটু বেশি ঘাম হয়, তাঁদের অবস্থা আরও শোচনীয়। ঘাম জমে সর্দি-কাশি তো আছেই, সঙ্গে দুর্গন্ধ ও জামাকাপড়ে নুন ধরে গিয়ে সাদা বা হলদেটে দাগ (Sweat Marks) পড়ে যায়। এই ঘামের দাগগুলি জামাকাপড়ের শ্রী নষ্ট করে তো বটেই, সঙ্গে দীর্ঘসময় ধরে সেই দাগ লেগে থাকায় সমস্যা আরও বেড়ে যায়। পার্টিতে বা অনুষ্ঠানে গিয়ে আন্ডারআর্মসে ঘাম জমে দাগ তৈরি হলে তা নির্মূল করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। ঘামের দাগ থেকে মুক্তি পেতে কিছু নিয়ম মেনে চলুন, তাহলেই হবে মুসকিল আসান।
আপনি কী পরছেন, তার উপর নির্ভর করে ঘাম জমে দাগ হবে কিনা
– ঘাম সম্পূর্ণভাবে শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
– খালি পায়ে থাকার চেষ্টা করুন। এছাড়া স্যান্ডেল বা খোলা পায়ের জুতো পরুন। বাড়িতে থাকলে খালি পায়ে থাকার চেষ্টা করুন।
– গরমের দিনগুলিতে চুল খুলে নয়, বরং পনিটেল করে উঁচুতে বেধে রাখুন। তাতে ঘাড়ে ও মুখে ঘাম কম হবে।
-সুতি, লিনেন, ভয়েল ইত্যাদি তন্তুতে বাতাস ভালোভাবে চলাচল করে। তাতে তাপ ও ঘামকে আটকে রাখতে সাহায্য করে।
– গরমে বেশি হালকা নয়, গাঢ় বা প্রিন্টেড জামাকাপড় পরুন। ধূসর, নীল ও উজ্জ্বল রংয়ের তুলনায় গাঢ় রংয়ের পোশাকে দাগ কম বোঝা যায়।
– হেম করা প্যান্টগুলো গোড়ালি পর্যন্ত পরুন বা শর্টস বা ক্রপড প্যান্ট পরতে পারেন এই গরমের সময়ে।
– ‘ডিওডোরেন্ট’ নয়, ব্যবহার করুন ‘অ্যান্টিপার্সপিরান্ট’। কারণ এটা ত্বকের উপরিভাগে ঘাম পৌঁছাতে বাধা দেয় এবং ঘাম থেকে দূর্গন্ধ তৈরির ব্যাক্টেরিয়া নির্মূল করে। এজন্য দামি সুগন্ধি ব্যবহার না করলেও চলে।
কোথায় আছেন, তার জন্য টিপস
– শরীরকে যতটা সম্ভব ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। পাখা বা এসিতে থাকলে ঘাম হবে কম।
– দিনের বেলায় ফ্রিজে রাখা একটি জলের বোতল সঙ্গে রাখুন। হাইড্রেটেড রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন এই সময়।
– সরাসরি সূর্যের আলোয় বসবেন না। গাড়ি বা অন্যান্য যানবাহনে করে অফিস বা স্কুলে যাওয়ার সময় যতটা সম্ভব জানলার পাশে বসার চেষ্টা করুন।
– গরমকালে বারবার স্নানের একটা প্রবণতা তৈরি হয়। তবে শরীরকে ঠান্ডা করতে ঘুমানোর ঠিক আগে ঠান্ডা জলে স্নান সেরে নিন। ঠান্ডা জলে স্নান না করলেও মুখ, ঘাড়, পা মুছে নিলেও দেখবেন আরাম পাবেন।
পুরুষদের জন্য টিপস
– বেশিরভাগই মনে করেন শার্টের নিচে ‘আন্ডারশার্টস’ বা হাতাওয়ালা পাতলা গেঞ্জি পরাটা মোটেই স্মার্ট বিষয় না। তবে এই ধরনের গেঞ্জি পরার সুবিধা হল, ঘাম শুষে নেয়। ফলে উপরে পরা শার্ট বা পোশাকে ঘামে ভিজে না। দাগও পড়ে না। বর্তমানে ঘামের দাগ যাতে জামায় লেগে না থাকে, তার জন্য ‘আন্ডার আর্ম প্যাড’ও পাওয়া যায়।
– অফিসে ফর্ম্যাল ড্রেস হলেও যতটা সম্ভব সুতির বা লিনেনর শার্ট পরুন। এছাড়া অফিসে থাকলে হালকা একটি জ্যাকেট পরে থাকতে পারেন। এই জ্যাকেট পরে থাকলে ঘাম থেকে রক্ষা পাওয়া যায় অনেকটা।
– অফিসে যাওয়ার সময় টাই বেঁধে যাবেন না। পারলে ফর্ম্যাল জুতো সঙ্গে নিয়ে নিন। তাতে অনেকটা হালকা বোধ করবেন। অফিসে গিয়ে টাই ও জুতো বদলে তারপর প্রবেশ করুন।
– ইনার বা বক্সার , মোটা কাপড়ের আন্ডারপ্যান্ট থেকে দূরে থাকুন। তার পরিবর্তে স্পোর্টস অ্যান্ডারওয়্য়ার ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এই ব্যাপসা গরমে অনেকটা হালকা বোধ করতে পারেন। ঘামও শুষে নেয়।
আরও পড়ুন: Body Odour: গরমে ঘামের দুর্গন্ধে টেঁকা দায়! ঘরোয়া উপায়ে এই ৮ মানলেই হবে কেল্লাফতে