Mandarmani: দু’জনকে নিয়ে উঠেছিলেন হোটেলে, আচমকা ফিরে যান একজন! মন্দারমণির রিসর্টে TMC নেতার মৃত্যুতে দুই রহস্যময়ীই ভাবাচ্ছে পুলিশকে
Mandarmani: এক মহিলা বাড়ি ফিরলেও থেকে যান অন্য জন। রাতে আবুলের সঙ্গে তিনি একই ঘরে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। মহিলা পুলিশি জেরায় জানিয়েছেন, রাতে একটা সময় তিনি বাথরুমে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা লাগানো অবস্থায় ঝুলছে আবুলের দেহ। দেখা মাত্রই তিনি পুলিশে খবর দেন।
মন্দারমণি: মন্দারমণির রিসর্টে তৃণমূল নেতার মৃত্যুতে নয়া মোড়। দুই বান্ধবীর ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও ঘটনার পরেই হোটেল কতৃপক্ষ ও হোটেল মালিক সংগঠনও মুখে কার্যত কুলুপ এঁটে ফেলেছে। পুলিশও যে বিশেষ মুখ খুলতে চাইছে এমনটা নয়। ইতিমধ্যেই আমডাঙার বাসিন্দা বছর চৌত্রিশের ওই তৃণমূল নেতা আবুল নাসার দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে আবুলের স্ত্রী আবার আমডাঙ্গার আদাহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই নেতার এক বান্ধবী ও বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে মন্দারমণি কোস্টাল থানার পুলিশ। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার দুই বান্ধবী-সহ এক বন্ধুকে নিয়ে মন্দারমণিতে বেড়াতে আসেন আবুল। ছিলেন এক বিলাসবহুল হোটেলে। শুক্রবার অসুস্থতার কারণে বাড়ি ফিরে যান এক মহিলা।
এই খবরটিও পড়ুন
এক মহিলা বাড়ি ফিরলেও থেকে যান অন্য জন। রাতে আবুলের সঙ্গে তিনি একই ঘরে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। মহিলা পুলিশি জেরায় জানিয়েছেন, রাতে একটা সময় তিনি বাথরুমে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা লাগানো অবস্থায় ঝুলছে আবুলের দেহ। দেখা মাত্রই তিনি পুলিশে খবর দেন। কিন্তু কে এই মহিলা? কী সম্পর্ক আবুলের সঙ্গে? সূত্রের খবর, আবুলের সঙ্গে প্রায় ৬ বছরের ‘বন্ধত্ব’ এই মহিলার। ছিল ঘনিষ্ঠতা। বাড়ি ব্যারাকপুরে। প্রায়শই নানা জায়গায় বেড়াতেও যেত আবুলের সঙ্গে। আবুল বিবাহিত হলেও ওই মহিলা বিয়ে করেননি। যা নিয়ে নাকি আবুলের সঙ্গে তার ঝামেলাও হয়েছে জানা যাচ্ছে। তাই এ ঘটনার নেপথ্যে ত্রিকোণ প্রেম বা পরকীয়ার কোনও ব্যাপার রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।