আকাশে-বাতাসে পুজোর গন্ধ। চারিদিকে সেল, নানা রকম প্রদর্শনী আর কেনাকাটার ব্যস্ততা জানান দিচ্ছে পুজো এবার দোরগোড়ায়। যদিও হাতে চল্লিশ দিন সময় এখনও রয়েছে তবুও পাড়ার মোড়ে প্যান্ডেলের বাঁশ পড়েছে। কুমোরটুলিতে ঠাকুর গড়ার কাজও শুরু হয়েছে জোর কদমে। তার মধ্যে বৃষ্টি, ডেঙ্গির ভ্রূকুটি এসব তো আছেই। দেশজুড়ে এখন উৎসবের মেজাজ। বুধ আর বৃহস্পতিবার বাড়িতে বাড়িতে পালন করা হচ্ছে জন্মাষ্টমী। ছোট্ট গোপালের জন্মদিন উপলক্ষ্যে সকলে ব্যস্ত আয়োজনে। জন্মাষ্টমীর কয়েকদিন পরই গণেশ চতুর্থী। সুতরাং উৎসবের ঢাকে যে কাঠি পড়েই গিয়েছে তা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। উৎসবের আনন্দ সকলকে ঘিরে। এমন বিশেষ দিন আর পাঁচটা সাধারণ দিনের থেকে আলাদা। সুন্দর করে বাড়ি সাজানো, নিজেকে সাজানো, নিজের হাতে রান্না- এমন সব ছোট ছোট মুহূর্ত দিয়েই তৈরি হয় দারুণ কিছু কোলাজ।
মন থেকে সুন্দর থাকা তো প্রয়োজনই সেই সঙ্গে নিজেকে সুন্দর রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। সুন্দর শাড়ি পরে সেজেগুজে অনুষ্ঠান বাড়িতে যেতে কার না ভাল লাগে! এই পুরো ব্যাপারটির মধ্যে একটা পজিটিভ ভাইবসও থাকে। সামনেই নিমন্ত্রণের লম্বা লিস্ট, ভাবছেন কী পরবেন কেমন ভাবে সাজবেন? রইল দারু কিছু টিপস।
এমন আনন্দ অনুষ্ঠানের বিশেষ দিনে ট্র্যাডিশন্যাল পোশাকেই সবচাইতে বেশি ভাল লাগে দেখতে। আর তাই এমন দিনে শাড়ি ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারেন কি? আজকাল শাড়ি আলমারিতে জমেই থাকে তা পরার বিশেষ সুযোগ হয় না। তাই এমন দিনে বেছে নিন সিল্কের কোনও শাড়ি। যেমনটা মিমি পরেছেন। ট্র্যাডিশন্যাল এই কাঞ্জিভরমের সঙ্গে স্লিভলেস ব্লাউজ, ট্র্যাডিশন্যাল গয়নায় দারুণ লাগে দেখতে। মিমি যেমন পরেছেন কুন্দন বসানো চাঁদবালি, কানে ঝুমকো, হাতে সোনার চূড়- সব মিলিয়ে খুব সাবেকি মিমির এই সাজ। একই সঙ্গে আভিজাত্যও রয়েছে। যতই আধুনিক সাজ আসুক না কেন এমন শাড়ি আর গয়নায় সাজের কোনও তুলনা নেই। খুব সহজে এই লুক সেট করতে পারবেন আপনিও