বাঙালিদের কাছে পুজো একটা আবেগ। পুজোকে ঘিরে থাকে অনেক স্মৃতি, প্রচুর মানুষের রুটিরুজি জড়িয়ে থাকে এই পুজোর সঙ্গে। আর তাইতো বছরভর অপেক্ষা এই কটা দিনের জন্য। ষষ্ঠী টু দশমী- কোনদিন কেমন পোশাক পরা হবে, কোথায় আড্ডা হবে, পুজোর স্পেশ্যাল কী কী খাওয়া-দাওয়া হবে, কোন রেস্তোরাঁয় যাওয়া হবে তাই নিয়ে হোয়্যাটস গ্রুপেও রিসার্চ এখন তুঙ্গে। আর পুজোতে দেওয়া-নেওয়ার একটা পালাও থাকে। কাছের মানুষ, বন্ধু-আত্মীয়দের এই সময় উপহার দেওয়ার মধ্যে অদ্ভুত একটা মনের আরাম থাকে। কাজের ব্যস্ততা আর ভার্চুয়াল দুনিয়ার সৌজন্যে সারা বছর দেখা করার ৫ মিনিট সময়ও বের করা দায়। আর তাই সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু এই পুজো। বঙ্গ থেকে ওড়িশা যতই নিম্নচাপের ভ্রুকুটি থাক না কেন,যতই ডেঙ্গির চোখ রাঙানি থাক না কেন, ঢাল-তলোয়ার হাতে চলছে পুজোর প্রস্তুতি।
প্যান্ডেল বাঁধার কাজ চলছে জোরকদমে, সন্ধ্যে হতেই বাড়ছে চাঁদার জুলুম, ফুটপাথ ঘিরে হোর্ডিং এর জন্য বাঁশও পড়ে গিয়েছে। পুজোর জ্যাম-জমাট আর প্যাচপ্যাচে গরম যতটাই বিরক্তি ধরাচ্ছে ঠিক ততটাই শান্তি এনে দিচ্ছে ভোরের শিউলি ফুল। একে মাসের শেষ তারপর পরের মাসেই পুজো। খুব স্বাভাবিক পকেটে টান তো থাকবেই। তার মধ্যেই বাঁচিয়ে পুজোয় মেজমার শাড়ি, ছোটকার পাঞ্জাবি, ছোটমাসির পছন্দের চিনামাটির বাসন, মায়ের পছন্দের বেডকভার, বোনের কুর্তি, বরের পাঞ্জাবি এসব তো কিনতে হবে। কেনাকাটার জন্য এখন দোকানের অভাব নেই। তবে যদি আপনার মন পসন্দসব কিছু পেয়ে যান এক ছাদের তলায় তাহলে কেমন হয়? সেই সুযোগই করে দিচ্ছে ‘সহচরী’।
কোভিড পরবর্তী সময়ে অনলাইন কেনাকাটায় মানুষ যেমন চোস্ত হয়েছেন তেমনই আগ্রহও বেড়েছে। কয়েক হাজার দিদিদের সঙ্গে নিয়ে ফেসবুকে জমজমাট সহচরীর সংসার। আর সেই সংসার থেকে ১১৫ জন দিনি তাঁদের বানানো পোশাক, গয়না, রূপচর্চার সামগ্রী, ব্যাগ, জিভে জল আনা খাবার, গৃহস্থালির টুকিটাকি সামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছেন এই মহাপুজো FEST-এ। শুধু তাই নয়, আছেন ডায়াটেশিয়ান এবং ফিজিওথেরাপিস্টও। এই নিয়ে সহচরী FEST- চতুর্থ বর্ষে পা দিল। জানালেন গ্রুপ অ্যাডমিন দেবস্মিতা বসু। ২৯-১ অক্টোবর, বালিগঞ্জ পার্কের গণপতি ব্যাঙ্কোয়েটে চলবে এই মহাযজ্ঞ। তবে ভাববেন না সম্পূর্ণ মহিলাপরিচালিত এবং মহিলাদের গ্রুপ বলে শুধুমাত্র মেয়েদেরই পোশাক পাওয়া যাবে। ছেলেদের জন্যও থাকছে বিপুল সম্ভার। বাড়ির সকল সদস্যের জন্য কেনাকাটা করতে পারবেন এই FEST-এ।
কেনাকাটা করলে তো উপহার থাকছেই সেই সঙ্গে ব্যাঙ্কোয়েটে পা-রাখলেই সহচরীর তরফে থাকছে চমক। এছাড়াও থাকছে আকর্ষণীয় ছাড়। একে অন্যের পাশে দাঁড়াতে, প্রতিটি মেয়েকে সাবলম্বী করে তুলতেই এমন উদ্যোগ সহচরীর। ডিজাইনার শাড়ি, ব্লাউজ, পাঞ্জাবি, ঘর সাজানোর জিনিস, গয়না, সুগন্ধি থেকে শুরু করে যা খুশি তাই নিয়ে যান এই মহাযজ্ঞ থেকে। কেনাকাটা, খাওয়া-দাওয়া, অনেক নতুন মুখের সঙ্গে পরিচয়… একটা উইকএন্ড এমন কাটলে মন্দ কি!