উল্টোরথে ১৪ জনের বড় দল নিয়ে জগন্নাথ দর্শনে গিয়েছিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, ইমন চক্রবর্তীরা। সঙ্গে আরও অনেকেই ছিলেন। এভাবে একসঙ্গে জগন্নাথ দর্শনের যে সুযোগ মিলবে তা তাঁরা নিজেরাও ভাবতে পারেননি। পুরীর সৈকতে সন্ধ্যেবেলা সকলে মিলে গাইলেন- ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়, এই আকাশে’। সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজেদের সেই সব মুহূর্তের ছবি ভাগ করে নিয়েছেন তাঁরা। এবছর পুরীতে গিয়ে জগন্নাথ দর্শনের পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ দর্শনও হয়েছে তাঁর। একসঙ্গে তাঁরা রবি ঠাকুরের গান গেয়েছেন, নিজেদের অভিজ্ঞতার গল্প ভাগ করে নিয়েছেন। সেই সব মুহূর্তের স্মৃতি অনবদ্য স্বস্তিকার কাছে। বেশ কিছু ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন স্বস্তিকা। একটি ভিডিয়োর শেষে তিনি লিখেছেন- ‘আজ স্বপ্ন দেখলাম, ওনার পায়ের কাছে চুপটি করে বসে আছি। প্রণাম করতে যাব, ঘুম ভেঙে গেল।’
এই প্রথম পুরীতে রথে এলেন স্বস্তিকা। জগন্নাথের রথের একদম সামনে দাঁড়িয়ে স্বস্তিকা। পরনে তাঁর সবুজ হ্যান্ডলুমের শাড়ি। এই শাড়িটি যে তাঁর মায়ের সে কথাও অবশ্য পোস্টে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। সঙ্গে তাঁর প্রিয় পরমার ডিজাইন করা সাদা ব্লাউজ। হাতে সবুজ কাঁচের চুড়ি। চুলে একটুকরো রঙ্গন ফুল লাগিয়েছেন। সব মিলিয়ে ভীষণ স্নিগ্ধ লাগছিল অভিনেত্রীকে। এখানেই শেষ নয়। এদিন পুরীর সমুদ্র সৈকত থেকে লালপাড় সাদা শাড়িতেও একাধিক ছবি তুলেছেন অভিনেত্রী। সেই সব ছবি পোস্টও করেছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। একটি ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন ‘ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙে’। এবারের এই ট্রিপে স্বস্তিকার সঙ্গী ছিলেন তাঁর ডিজাইনার, ফটোগ্রাফার বন্ধুরা। পুরো টিম যখন সঙ্গে তখন আর ফটোশ্যুট আটকায় কে!
ইন্দু বাই জয়িতার কালেকশন থেকে এই লাল পেড়ে সাদা শাড়িটি বেছে নিয়েছেন তিনি। সাধারণ এই শাড়ি দেখতে খুবই সুন্দর। এর সঙ্গে পরমার ডিজাইনে সাদা লাল-ঢাকাই ব্লাউজটিও অপূর্ব। হাতায় লেসের কুঁচি আর গলায় লেসের কাজটিও বেশ নজর কেড়েছে। সঙ্গে জলসাঘরের গয়না। সব মিলিয়ে স্বস্তিকাকে অপূর্ব লাগছে। আরও বেশি ভাল লাগছে কপালের ছোট্ট লাল টিপ আর ওভারসাইজড ওভ্যাল শেপের চশমা।