জোর কদমে চলছে পুজোর বাজার। দোকানে দোকানে নতুন পোশাক আর হরেক স্টকে উপচে পড়ছে। গত দু বছর কোভিডের কারণে পুজোর আনন্দ ছিল একেবারেই ম্লান। শপিং, ঠাকুর দেখা- মানুষ যে উৎসাহ নিয়ে বেরিয়েছিলেন এমন কিন্তু একেবারেই নয়। এ বছর চিত্রটা পুরোপুরি আলাদা। পুজোর বাকি মাত্র আর কয়েকদিন। পার্লারে লাইন পড়তে শুরু করেছে। বৃষ্টি, রোদ, ঘাম উপেক্ষা করেই দর্জির দোকানের বাইরে লম্বা লাইন। সকলেই চান পুজোতে এক্সক্লুসিভ কিছু পরতে। কারোর চাই ম্যাচিং ব্লাউজ তো কারোর স্টাইলিশ কর্তা। অনলাইনেও চলছে বিশেষ সেল। যাঁরা অফিসের ব্যস্ততায় কেনাকাটার সুযোগ পাচ্ছেন না তাঁরা অধিকাংশই কাজ সারছেন মন পসন্দ সাইট ঘেঁটে। ততবে পুজোর জামা যেমন পছন্দসই হতে হবে তেমনই কিন্তু বাজেট ফ্রেন্ডলিও চাই। পুজোর আগে সকলেই এমন বলেন যে সস্তায় সেরা জামা বা শাড়ি তাঁদের কাছেি রয়েছে। এবার এই সস্তার চক্করে পড়ে ঠকে যাচ্ছেন না তো? আর তাই পুজোর আগে রইল বিশেষ মার্কেট সমীক্ষা। জেনে বুঝে তবেই কিনতে যান।
পুজোর দিনে অঞ্জলি দিতে যাওয়ার আগে সব বয়সের সব মেয়েই শাড়ি পরেন। শহরে গড়িয়াহাট, বড়বাজার থেকে শুরু করে হাতিবাগান সব জায়গাতেই ভাল শাড়ি পাওয়া যায়। ভাল আর সস্তার শাড়ি তো সর্বত্র পাওয়া যায়, তবে সস্তার সব শাড়িই কি সব সময় ভাল হয়? অনেকেরই পছন্দ ট্র্যাডিশন্যাল সিল্ক। আজকের বাজারদরে সিল্কের দাম মোটেই কম নয়। তার উপর শাড়িতেও এখন জিএসটি ধার্য করা হয়। যে কারণে সিল্কের শাড়ি একটু দেখে কেনাই ভাল। কিনতে যাওয়ার আগে অবশ্যই দোকান যাচাই করে নেবেন। সস্তার শাড়ি দিচ্ছেই বলে যে সেই দোকান থেকে নিতে হবে এমন কিন্তু নয়। কারণ এখন আর্টিফিশিয়াল সিল্কও এসে গিয়েছে বাজারে। যার প্রিন্ট হয়তো বালুচরী, কটকী বা কাঞ্জিভরমের মত হলেও তা আসল শাড়ি নয়।
অনেকক্ষেত্রে ভারী সিন্থেটিক শাড়ি সিল্ক বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়। আর তাই এই বিষয়ে একটু সচেতন হতে হবে। নকল সিল্ক আর জামদানিও অনেক আছে। কিছু ক্ষেত্রে ঠকিয়ে বেশি দামও নেওয়া হয়। গড়িয়াহাটে বেশ কিছু বিখ্যাত সিল্ক শাড়ির দোকান রয়েছে। তাই সিল্ক কিনতে চাইলে নামী দোকান থেকেই কেনা ভাল। সব সময় হাজার টাকার মধ্যে ভাল শাড়ি পাওয়া যায় এমন একেবারেই নয়। এক্সক্লুসিভ কোনও কালেকশন নিতে চাইলে ঢুঁ মারতে পারেন শহরের যে কোনও বুটিকে। অনলাইনেও এখন অনেক শাড়ি পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে প্রথমেই দামি শাড়ি না কিনে অল্প টাকার কিছু কিনুন। যদি পছন্দ হয় তবেই অন্য দামি শাড়ি কেনার কথা ভাবুন।