আরমাত্র কয়েকটা দিন পরেই শিল্পার প্রিয় বন্ধু অরুমিতার বিয়ে। এই বিয়েবাড়ি নিয়ে শেষ এক বছর ধরে প্রচুর প্ল্যানিং করেছে দুজনে। কিন্তু শেষপর্যন্ত কোভিডের চক্করে প্যানে বেশ কিছু রদলবদল হয়েছে বটে, কিন্তু সাজগোজের ( Wedding sarees) সঙ্গে কোনও আপোষ নয়। মেহেন্দি, সঙ্গীত, গায়ে হলুদ, আইবুড়োভাত- অনুষ্ঠান তো কম নয়। প্রতিদিন এক একরকম শাড়ি চাই। এদিকে শীতও ( Winter) জাঁকিয়ে পড়েছে। ফলে কোন দিন কেমন শাড়ি পরবে, ওভার কোট নাকি জ্যাকেটে ফ্যাশন করবে তাই ঠিক করে উঠতে পারছে না। আজকাল অরগ্যাঞ্জা, আজরক, সার্টিন, হাকোবা অনেক রকম শাড়ি পাওয়া যায়। কিন্তু বন্ধুর বিয়েতে কেমন শাড়ি বাছবে তাই নিয়ে অরুমিতার বন্ধু মহল বেশ টেনশনে। আজ তাই অরুমিতার বন্ধুদের জন্য রইল দারুণ সমাধান। সিল্কের শাড়িতে সব সময় ভীষণ ট্র্যাডিশন্যাল( traditional silk sarees) ভাবে সাজা যায়। সিল্কের শাড়ির নানা ধরণও রয়েছে। হাতের কাছে যদি এই সমস্ত সিল্ক থাকে তাহলেই কিন্তু কেল্লাফতে।
মখমল- রাজ-রাজড়াদের অতি প্রিয় মখমল। রূপকথার গল্প মানেই মখমলের চাদর, মখমলের পোশাক। মখম আমাদের সংস্কৃতির বিশেষ অংশ। মখল ছাড়া যেন বিয়েবাড়ি অসম্পর্ণ। এছাড়াও ফ্যাশন ডিজাইনারদেরও খুব পছন্দ এই মখমল। একরঙা মখমলের শাড়়ি দেখতে কিন্তু বেশ লাগে। কিংবা নেটের শাড়ির সঙ্গে মখমলের ব্লাউজ। গাউন তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় মখমল বা ভেলভেট। এই কাপড় কিন্তু খুব নরম হয়। সঙ্গে বজায় রাখে উষ্ণতাও।
মাশরু সিল্ক- আজকাল মাশরু সিল্কের উপর আজরক প্রিন্ট কিন্তু বেশ চলছেমাশরু সিল্কের রং খুব সুন্দর হয়। । অফিস পার্টি থেকে বিয়েবাড়ি, সহজেই বেছে নেওয়া যায় এই শাড়ি। মূলত কটন সিল্ক মিশিয়ে এই শাড়ি তৈরি হয়। সেই সঙ্গে ভীষণ আরাম দায়কও। এই ফ্যাব্রিকটি মূলত গুজরাতের পাটান এবং মান্ডভিতে তৈরি করা হয়। সবথেকে বড় বিষয় হল এই সিল্ক ভীষণ ট্রেন্ডি। হল্টারনেট, স্লিভলেস যে কোনও ব্লাউজের সঙ্গেই দিব্যি মানানসই।
বেনারসি- সেরা এবং ঐতিহ্যবাহী শাড়ি হিসেবে বেনারসির স্থান সবার উপরে। নকশার জন্যি সুপ্রসিদ্ধ বেনারসি। আগেকার দিনে বেনারসিতে সোনার জল ধরানো কিংবা রূপোর জল ধরানো সুতোর কাজ থাকত। রাজা-মন্ত্রীদের পাগড়ি তৈরি হত এই বেনারসি কাপড় দিয়ে। এছাড়াও বেনারসির নকশা একেবারেই অন্যরকম। শীতের দিনে বেনারসির রং যেমন উষ্ণ রাখে তেমনই দেখতেও ভীষণ ভাল লাগে। আজকাল নানা রকম বেনারসি পাওয়া যায়।
পশমিনা- কাশ্মীরের এই কাজ বিশ্বজুড়েই ভীষণ প্রসিদ্ধ। যেমন তার সূক্ষ্ম কাজ তেমনই কিন্তু উষ্ণতা, কোমলতায় মোড়া। পশমিনা যেমন জমকালো তেমনই হালকা। পশমিনা কিন্তু সব সময় ভীষণ রকম ঐতিহ্যবাহী। মূলত লাদাখেই তৈরি হয় পশমিনা। পশমিনার জ্যাকেট, গাউনও আজকাল খুব জনপ্রিয়।
র সিল্ক- কয়েক বছর হল বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই র সিল্ক। শীতকালে যেমন আরামদায়ক তেমনই দেখতেও বেশ ভাল লাগে। র সিল্কের থান কিনে নিজেও বানিয়ে নিতে পারেন শাড়ি। র সিল্কের সঙ্গে সুন্দর পাড় বসান। এবার ম্যাচিং করে ব্লাউজ পরুন। অনুষ্ঠানের সন্ধ্যায় সেদিন সবথেকে বেশি নজর কাড়বেন আপনি।
আরও পড়ুন: Fashion Tips: নিজেকে ফ্যাশেনেবল আর স্টাইলিস্ট করে তোলার আগে কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে…