যে কোনও রকম ফাস্ট ফুড (Fast Food), প্রক্রিয়াজাত খাবার, ঠান্ডা পানীয়, মিষ্টি বারবার এড়িয়ে চলার কথা বলা হয়। কারণ এই সব খাবার শরীরের জন্য এক রকম বিষ। সময় বাঁচাতে অনেকেই রোজকার ভাত-ডালের পরিবর্তে কামড় বসান পিৎজা, বার্গারে। এতে হয়তো চটজলদি খাওয়ার সমস্যার সমাধান হয়, কিন্তু শরীরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি যায়। দিনের পর দিন এসব খাবার খেতে থাকলেই আসবে ডায়াবিটিসের মত সমস্যা। সেই সঙ্গে কিন্তু ওজনও বাড়বে। পরিবর্তে বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে বলা হয় রোজকার ডায়েটে (Daily Diet) । জীবনযাত্রা যদি নিয়ন্ত্রিত হয় আর নিয়ম মেনে খাবার খাওয়া যায় তাহলে কিন্তু ওজন ঝরবে খুব তাড়াতাড়ি। সেই সঙ্গে কমবে রোগের ঝুঁকিও। আর এই স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে কিন্তু একেবারে প্রথমেই রয়েছে বিনস। বিনসের মধ্যে সবুজ মুগ, রাজমা, কলাই, সোয়াবিনের বীজ থেকে শুরু করে একাধিক শস্যদানা রয়েছে। নিয়মিত ভাবে এই সব শস্যদানা খেতে পারলে, ওজন কমে, কমে বিরল রোগের ঝুঁকিও। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত বিনস খেলে (Health benefits of eating beans) কমে ক্যানসারের ঝুঁকিও।
বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যে সব অঞ্চলে মানুষের আয়ু বেশি তাঁরা কিন্তু নিয়মিত ভাবে বিভিন্ন দানাশস্য খান। বিশেষত বিনস। বিনস, মটরশুঁটির জেরেই তাঁরা শতায়ু লাভ করেছেন। আর বিনসের মধ্যে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিই কিন্তু এর জন্য দায়ী। এতে প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, ফোলেট এসব বেশি পরিমাণে থাকে। নিউট্রিয়েন্টসে প্রকাশিত সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়ম করে উদ্ভিজ প্রোটিন খেতে পারলে আমাদের হার্ট ভাল থাকে। সেই সঙ্গে প্রদাহ কমাতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে এই সব দানাশস্যের।
আমেরিকান ডায়াবিটিস অ্যাসোসিয়েশনের মতে রোজ সকালে যদি এই সোয়াবিন বীজ, সবুজ মুগ এসব ভিজিয়ে খাওয়া যায় এবং স্ন্যাক্স হিসেবে অন্য কিছু না খেয়ে এই সব বীজ দিয়েই চার্ট বানিয়ে নেওয়া যায় তাহলে ডায়াবিটিস, হৃদরোগ এবং উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি কমে অনেকটাই। অঙ্কুরিত ছোলা, মুগ, পেঁয়াজ, শসা, টমেটো, লেবু দিয়ে চাট বানিয়ে নিলে খেতেও বেশ মুখরোচক হয়। এক্ষেত্রে টিনজাত মটরশুঁটি কিন্তু এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। কারণ এর মধ্যে সোডিয়ামের পরিমাণ থাকে বেশি।
অনেকের ক্ষেত্রে আবার এই সব শস্যদানা বেশি খেলে গ্যাসের সমস্যা আসতে পারে। সেক্ষেত্রে আগে থেকে সতর্ক থাকুন। একসঙ্গে অনেকটা পরিমাণে না খেয়ে অল্প অল্প করে খান। দানাশস্যের মধ্যে যে সব উপাদান থাকে তা আমাদের অন্ত্র ভাল রাখতেও সাহায্য করে। আর তাই একদিনেই ,ব খেয়ে নেবেন এরকম মানসিকতা রাখবেন না, বরং ধীরে ধীরে খান। এতে শরীর থাকবে সুস্থ।
আরও পড়ুন: Curd With Banana: ব্রেকফাস্টে একসঙ্গে খান দই আর কলা, শরীর থাকবে চাঙ্গা