Curd With Banana: ব্রেকফাস্টে একসঙ্গে খান দই আর কলা, শরীর থাকবে চাঙ্গা

Health Benefits Of Curd With Banana: টকদই আর কলার নিজস্ব গুণ অনেক। আর যখন এই দুইয়ের গুণ একসঙ্গে মিলে যায় তখন শরীরের নানা রকম উপকার হয়। ওজন কমার পাশাপাশি শরীর পায় প্রয়োজনীয় পুষ্টিও

Curd With Banana: ব্রেকফাস্টে একসঙ্গে খান দই আর কলা, শরীর থাকবে চাঙ্গা
ব্রেকফাস্টে একসঙ্গে খান দই আর কলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 16, 2022 | 8:07 AM

দিনের শুরু যেমন হবে সারা দিন কিন্তু তেমনই কাটবে। আর তাই দিন শুরু করুন স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্টে (Healthy Breakfast)। সকাল থেকে নিয়ম মাফিক ডিটক্স ওয়াটার, শরীরচর্চার পর কিন্তু পুষ্টিকর ব্রেকফাস্ট খেতে ভুলবেন না। কিংবা রোজ রোজ কাজের দোহাই দিয়ে এড়িয়েও যাবেন না। অনেকেই সকালের চা-বিস্কুটকে ব্রেকফাস্ট হিসেবে ধরে নেয়, যে অভ্যাস কিন্তু একেবারেই ভাল নয়। আর তাই ব্রেকফাস্টে কচুরি-তরকারি নয়, বরং স্বাস্থ্যকর কোনও খাবার খান। যে খাবারের মধ্যে ক্যালোরি একেবারেই থাকবে না সেই সঙ্গে হজমও হবে তাড়াতাড়ি। আজকাল বেশিরভাগ মানুষই কিন্তু ব্রেকফাস্টে ওটস (Oats For weight loss) খান। কেউ খান দই দিয়ে কেউ আবার দুধ দিয়ে। কখনও এই ওটসের সঙ্গে মিশিয়ে নেন পছন্দের ফল। তবে সমীক্ষা বলছে ব্রেকফাস্টে যদি টকদই আর কলা (Curd With Banana) একসঙ্গে খাওয়া যায়, তাহলে কিন্তু ওজন ঝরবে তাড়াতাড়ি। এছাড়াও এই সংমিশ্রণে প্রোটিনও থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। থাকে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ৬, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, প্রোটিন, সোডিয়াম ও ক্যালশিয়াম।

পুষ্টিবিদ ও ডায়াটেশিয়ান শিখা আগরওয়াল শর্মার মতে, ওজন কমানোর চেষ্টা করলে এবং নিয়মিত ভাবে দই০কলার মিশ্রণ খেতে পারলে তা কিন্তু আমাদের শরীরের পক্ষেই উপকারী। পেটের সমস্যার সমাধান হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা থাকে না। এছাড়াও যাঁরা নিয়মিত বদহজম, গ্যাসের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের জন্যও এই দই-কলার (Curd With Banana) মিশ্রণ খুব ভাল। শরীর ঠান্ডা রাখতে কিন্তু এই মিশ্রণের জুড়ি মেলা ভার।

ওজন কমাতে- ওজন কমাতে কিন্তু ভীষণ উপকারী এই দই আর কলা। কারণ এই দুই উপাদানের মধ্যেই থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা আমাদের দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও পেটও ঠান্ডা রাখে। যে কারণে গরমে দই-চিঁড়ে-কলা খুবই জনপ্রিয়। আর দই, কলা দিয়ে মুড়ি, খই বা মুজলি খেতেও কিন্তু বেশ লাগে।

হাড় শক্ত করে- দইয়ের মধ্যে থাকে ক্যালশিয়াম। যা আমাদের হাড় শক্ত করে। এছাড়াও থীকে ভাল কিছু ব্যাকটেরিয়া, যা শরীরের জন্য উপকারী। নিয়মিত ভাবে দই খেতে পারলে জয়েন্ট পেইনও সেরে যায়। সঙ্গে ফাইবার শরীরে ক্যালশিয়ামের শোষণ বাড়ায়।

স্ট্রেস কমায়- কলায় থাকা পটাশিয়াম পেশী শিথিল করতে সাহায্য করে তেমনই দইয়ের মধ্যে থাকা সোডিয়াম পেশীর সংকোচনকে প্ররোচিত করে। এই দুই মিশ্রণ কিন্তু কোশে পুষ্টি পরিবহনে সাহায্য করে। এছাড়াও, কলায় থাকা ট্রিপটোফ্যান নিউরোট্রান্সমিটার সেরোটোনিনে রূপান্তরিত হয়, যা স্নায়ুর চাপ কমায় এবং মন ভাল রাখে।

কোষ্ঠকাঠিন্য সারায়- পেট যদি রোজ পরিষ্কার হয় তাহলে কিন্তু একাধিক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। আর তাই রোজকার ডায়েটে রাখতে পারেন দই-কলা। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা যেমন দূর হবে তেমনই কিন্তু ওজন কমবে দ্রুত।