Ayurvedic Churna: এই ৫ আয়ুর্বেদ চূর্ণ ডায়াবেটিসের যম, বানিয়ে নিতে পারেন বাড়িতেই

Diabetes Care: আয়ুর্বেদে আমলার একাধিক ব্যবহার রয়েছে। আর এই আমলা আমাদের শরীরের জন্যেও ভীষণ উপকারী

Ayurvedic Churna: এই ৫ আয়ুর্বেদ চূর্ণ ডায়াবেটিসের যম, বানিয়ে নিতে পারেন বাড়িতেই
এই গুঁড়োতেই কমবে সুগার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 22, 2022 | 9:27 AM

ঘরে ঘরে এখন বাড়ছে সুগারের রোগীর সংখ্যা। অধিকাংশ মানুষই টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। বিশ্বজুড়েই নিঃশব্দ ঘাতকের মত থাবা বসিয়েছে ডায়াবেটিস। এই রোগের স্থায়ী কোনও চিকিৎসা নেই। ওষুধ খেলেই এই সমস্যার সমাধান হয় না। শুধুমাত্র ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় মাত্র। এর সঙ্গে মেনে চলতে হবে যথাযথ খাদ্যাভ্যাসও। রোজ নিয়ম করে দু বেলা হাঁটতেও হবে। ক্যালোরি মেপে খাবার খাওয়া অভ্যাস করা, কার্বোহাইড্রেট কম খাওয়া এসব ভীষণ রকম জরুরি। তবে আয়ুর্বেদে বেশ কিছু ভেষজের কথা বলা হয়েছে। নিয়ম করে এই সব ভেষজ খেতে পারলে রক্তশর্করা থাকবে নিয়ন্ত্রণে। সেই সঙ্গে শরীর ভিতর থেকেও থাকবে সুস্থ। আর আয়ুর্বেদের কোনও রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।

আমলা গুঁড়ো- আয়ুর্বেদে আমলার একাধিক ব্যবহার রয়েছে। আর এই আমলা আমাদের শরীরের জন্যেও ভীষণ উপকারী। আমলার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও আমলার মধ্যে আছে ক্রোমিয়াম। যা রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আছে ক্যালশিয়াম, ফসফরাস এবং আয়রন। যা ইনসুলিন শোষণ করে রক্তে শর্করার মাত্রা রাখে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। রোজ সকালে গরম জলের সঙ্গে খান আমলকীর গুঁড়ে।

দারুচিনি গুঁড়ো– সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুচিনিও বেশ কার্যকরী। একগ্লাস গরম জলে হাফ চামচ দারুচিনি মিশিয়ে ধীরে ধীরে খান। সারাদিনের মধ্যে অন্তত ৩ বার এই জল খেতে পারলে লাভ হবে। শরীর থেকে একাধিক সমস্যাও থাকবে দূরে।

মেথি গুঁড়ো- ভারতীয় হেঁশেলে মেথি হল গুরুত্বপূর্ণ মশলা। অনেক রান্নাতেই মেথি ফোড়ন ব্যবহার করা হয়। এই মেথি রাতে ভিজিয়ে সকালে খেলেও বেশ উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও মেথি গুঁড়ো করে খেতে পারেন। মেথি আর জোয়ান একসঙ্গে জলে ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে সেই জল খেলেও বেশ কিছু উপকার পাওয়া যায়।

সজনের পাউডার– সজনের দাঁটা, পাতা, ফুল সবই উপকারী। এর মধ্যে রয়েছে একাধিক ঔষধি গুণও। দক্ষিণ ভারতে বেশ কিছু খাবার তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় এই পাউডার। সজনের পাতা শুকনো করে গুঁড়ো করে রাখুন। রোজ সকালে খালিপেটে ইষদুষ্ণ জলের সঙ্গে এই পাউডার খান এক চামচ করে। এতে রক্তশর্করা থাকবে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে।

ত্রিফলা- আমলকী, হরিতকী এবং বহেড়ার গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে বানানো হয় এই ত্রিফলা। কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অন্ত্রের যে কোনও সমস্যায় কার্যকরী হল এই ত্রিফলা। আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবেও তা ব্যবহার করা যায়। যেহেতু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বড় উৎস ত্রিফলা তাই শরীরে স্ট্রেস কমাতেও কাজে আসে এই মিশ্রণ।