Vietnamese Food: সোনাব্যাঙ থেকে এগ-কফি, ভিয়েতনাম সফর শেষে মেন্যু শেয়ার করলেন অরিন্দম শীল
Arindam Sil: নিজের শুটিংয়ের সময়ও নানা ধরনের খাবারের পসরার ব্যবস্থা থাকে। ভোজন রসিক মানুষ হিসেবে শীলবাবু অন্য দেশের খাবার চেখে দেখবেন না, তা হতেই পারে না। TV9 বাংলাকে অরিন্দম জানালেন, ভিয়েতনামে সব রকম খাবার তিনি চেখে দেখেছেন।
পরিচালক অরিন্দম শীল চূড়ান্ত ব্যস্ত তাঁর পুজোর ছবি ‘জঙ্গলে মিতিন মাসি’র প্রচার নিয়ে। অবশ্য এরই ফাঁকে স্ত্রী শুক্লা শীলকে নিয়ে ঘুরে এলেন ভিয়েতনাম। সম্প্রতি কলকাতায় হয়ে-যাওয়া একটি অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে পরিচালক TV9 বাংলার সঙ্গে শেয়ার করলেন তাঁর ভিয়েতনাম বেড়ানোর অভিজ্ঞতার কথা। নতুন দেশ বেড়ানো, সেই দেশের নানা কাহিনি জানা পরিচালক অরিন্দম শীলের দীর্ঘদিনের নেশা। সেই কারণেই ভিয়েতনামের কুচির জঙ্গলে দাঁড়িয়ে সেই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা জেনেছেন। পরে সেই কথা তাঁর ফলোয়ারদের জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে।
শীলবাবু নতুন দেশ ঘুরবেন আর সেই দেশের খাবার টেস্ট করবেন না, এমনটা তো হতেই পারে না। নিজের শুটিংয়ের সময়ও নানা ধরনের খাবারের পসরার ব্যবস্থা থাকে। ‘মিতিন মাসি’ হোক অথবা ‘ব্যোমকেশ’, খাওয়া-দাওয়া, হইহুল্লোড় সবসময়ই কমন। শুটিংয়ের ব্যস্ততার মাঝেও তাঁর বড় টেবিলে সিনেমার কলাকুশলীদের সঙ্গে একসঙ্গে খেতে ভালবাসেন অরিন্দম। বাঙালি খাবার সেখানে প্রাধান্য পায় বেশি স্বাভাবিকভাবেই। এমন ভোজন রসিক মানুষ অন্য দেশের খাবার চেখে দেখবেন না, তা হতেই পারে না। TV9 বাংলাকে অরিন্দম জানালেন, ভিয়েতনামে সব রকম খাবার তিনি চেখে দেখেছেন। বিফ, পর্ক থেকে সোনাব্যাঙ—কিছুই বাদ দেননি। এই সব খাবারের কথা বলতে গিয়ে পরিচালক বললেন, “এতো ধরনের মেন্যু যে হতে পারে, ভিয়েতনাম না গেলে জানতেই পারতাম না।” এছাড়াও একটি এমন জিনিস খেয়েছেন, সেটার নাম শুনে শীলবাবু নিজেই অবাক হয়ে গিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে ‘জঙ্গলে মিতিন মাসি’র পরিচালক হেসে বললেন, “কফি তো অনেক ধরনেরই খেয়েছি, তবে এগ-কফি এই প্রথম টেস্ট করলাম। নাম শুনে প্রথমটায় অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।” এরপর তাঁর সংযোজন, “নাম শুনে অবাক হলেও এই ডিম দিয়ে তৈরি কফির স্বাদ একদম অন্যরকম।” অস্ট্রেলিয়ার বিফ স্টেক, ম্যাঙ্গো স্টিকি রাইস এই দুই পদ খেয়েও খুবই মজা পেয়েছেন তিনি।
TV9 বাংলাকে আরও বললেন ‘ব্যোমকেশ’-‘শবর’ সিরিজের পরিচালক, “এছাড়াও বহু এমন দ্বীপ ঘুরেছি যার স্মৃতি উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। এরই মধ্যে নর্থ-ইস্ট ভিয়েতনামের হালংবে-র দ্বীপ দেখার মতো। এতো স্বচ্ছ জল যেন মনে হয় আয়না।”
ঘুরতে-ঘুরতে এমন একটি গ্রামে পৌঁছেছিলেন সস্ত্রীক অরিন্দম, যে জায়গা নানা ধরনের হাতের কাজের সঙ্গেই ধুপকাঠি তৈরির জন্য বিখ্যাত। বহু ধুপকাঠির মাঝে দাঁড়ানোর ছবি দিয়ে তাতে যদি তিনি লিখে না দেন, কেউ ধরতেই পারবে না যে, এগুলি ধুপকাঠি। এই গ্রামের নাম কুয়াং ফু কাউ। বেড়িয়ে এসেও মন পড়ে রয়েছে ভিয়েতনামের নানা সাজানো শহরে গোয়েন্দা সিরিজ়ের পরিচালক শীলবাবুর। তবে কাজে ফিরতেই হয়, সেই মতো কলকাতায় ফিরতেই ব্যস্ত জীবনে আবার প্রবেশ। পুজোর ছবি ‘জঙ্গলে মিতিন মাসি’র গান লঞ্চ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে নিজের ছবির প্রচার। এছাড়াও কলকাতার নতুন একটি ওটিটি মাধ্যমের জন্য চলছে একের পর এক সিরিজ, অরিজিনাল কনটেন্ট তৈরির কাজ। একের পর এক সিরিজ ও সিনেমার কাজ সেরে ফেলছেন অরিন্দম। তবে কাজের ফাঁকেই এই ভিয়েতনাম সফর তাঁর কাজ করার রসদ জোগান দিয়েছে, বলাই বাহুল্য।