বছরের একটি দিনেই গলা ভেজাতে ভাঙ দেওয়া পানীয় খেয়ে থাকেন অনেকে। সঙ্গে তো রঙের খেলা রয়েছেই। রঙের উত্সবে খানাপিনা থাকবে না তা কী করে সম্ভব। উত্সবের মজা পেতে এই ভাঙ ভারতীয় সংস্কৃতির গভীরে প্রবেশ করে গিয়েছে। সামনেই হোলি উত্সব। আর এই উত্সবে নানান রঙে খেলায় উত্তেজনার পাশাপাশি আয়োজন করা হয়, ঠান্ডাই বা কাঢ্জির মত সুস্বাদু ও লোভনীয় পানীয়। তবে এবার আর পানীয়তে নয়., ভাঙ মেশান পকোরাতে। বরফ ঠান্ডা ঠান্ডাইয়ের সঙ্গে ভাঙের পকোরা, দুর্দান্ত যুগলবন্দি। বাড়িতেই বানান এই সুস্বাদু ও নেশা ধরানো পকোড়া।
হোলির সঙ্গে মিশে আছে প্রেম, সৌহার্দ্য, সুখ ও পবিত্রতা। উত্সবের রঙের মজাদার খাবার ও পানীয়ের আয়োজন না থাকলে তা অসম্পূর্ণ। আবার হোলি ছাড়া ভাঙ অসম্পূর্ণ। শুধু হোলিতেই নয়, শিবরাত্রি বা শ্রাবণ মাসেতেও সিদ্ধির ব্যবহার চোখে পড়ে। ভাঙের পকোড়া, সরবত, ঘোল, মালপোয়া, লাড্ডুর সঙ্গে মিশিয়ে সিদ্ধি খাওয়ার চল রয়েছে। ভাঙ খোলা বাজারে পাওয়া যায় না। এটি আইনত নিষিদ্ধ। তবে একটুখানি ভাঙ জোগাড় করতে একটু পরিশ্রম করতে হবে বৈকি। দোলের দিন বাড়িতেই যদি ভাঙ-সিদ্ধির মজা নিতে চান, তাহলে বানিয়ে ফেলুন ভাঙের পকোড়া। কীভাবে বানাবেন, কী কী লাগবে তা দেখে নিন…
কী কী লাগবে
পাঁচজনের জন্য তৈরি করতে হলে যে যে উপকরণগুলি লাগবে তা দেখে নিন একনজরে…
২ কাপ বেসন, আধ চা চামচ হলুদ, ১ চা চামচ ড্রাই ম্যাঙ্গো পাউডার, ৩ টে মাঝারি সাউজের পেঁয়াজ, ২ কাপ রিফাইন্ড তেল, ২ চা চামচ নুন, আধ চা চামত লঙ্কা গুড়ো, ১ চা চামচ ভাঙে বীজের পাউডার, ৪টে আলু টুকরো করে কাটা
পদ্ধতি
বেসনের মধ্যে প্রথমে নুন, হলুদ, লাল লঙ্কাগুড়ো, আমচুর পাওডার ও সিদ্ধি পাতা বাটা দিয়ে মিশিয়ে নিন। এরপর এতে পেঁয়াজ ও আলু মেশান। প্রয়োজন পড়লে সামান্য জল দিয়ে ভালো ভাবে মেখে নিন, ঠিক যে ভাবে পেঁয়াজি মাখা হয়। এবার একটি কড়াইয়ে তেল গরম করুন। গোল গোল পাকিয়ে এগুলিকে সোনালী ও অল্প বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভেজে নিন। ধনেপাতার চাটনি বা টমেটো সসের সঙ্গে সিদ্ধি বা ভাঙের পকোড়া খেয়ে দেখুন।