করলার নাম শুনলেই অনেকেই নাক শিঁটকান! প্রথম পাতে তেতো খাওয়া বাঙালির চিরকালের অভ্যাস। এমনকী প্রাচীন কালে এই খাদ্যাভ্যাসের পরামর্শ দেওয়া হত। বর্তমানে আমাদের খাওয়ার অভ্যাস বদলেছে। নিম, করলা, ব্রাহ্মী এসব এখনকার বাচ্চারা খেতেই চায় না
চিকিৎসকদের মতে শুধু সবজি নয়, চিকিত্সকদের মতে করলা একটি ঔষধি গাছ। নানা রোগের প্রতিষেধক হিসেবেও কাজ করে। শরীরকে ফিট রাখতে ও সুস্থ রাখতে করলার নানান খাদ্যগুণ রয়েছে। পুষ্টিবিদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম করলায় আছে ২৮ কিলো ক্যালরি, ৯২. ২ গ্রাম জলীয় অংশ, ৩ গ্রাম শর্করা, ১৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৬৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি
এতগুণ থাকা সত্ত্বেও করলা অনেকেই খেতে চান না।কারণ, এই সবজি খেতে তেতো। তবে ঠিকমতো রান্না করতে পারলে করলা বা উচ্ছের তেতো ভাব কমিয়ে আনা যায়। ভাতের সঙ্গে খাওয়ার সময় মোটেও তোতো লাগবে না
রন্ধন বিশারদের মতে, করলা যত নাড়াচাড়া কম হবে ততই ভালো। করলা বা উচ্ছে বেশি ঘাঁটলেই তেতো হয়ে যায়। তাই করলার তেতোভাব কাটাতে কী করবেন জেনে রাখুন। করলা কাটার আগে ধুয়ে নিন। কাটার পরে হাত দিয়ে বেশি কচলে নেওয়ার দরকার নেই। রান্নার আগে ধুয়ে নিলেই হবে।
করলা কেটে নুন দিয়ে মেখে রাখলে তেতো ভাবটা কাটে অনেকটাই। তাই কাটা করলায় নুন মাখিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। জল ঝরে তেতো ভাব অনেকটা কমে যাবে
করলা যত পাতলা করে কাটবেন, ততই দ্রুত রান্না হবে। তাই বেশি নাড়াচাড়া করতে হবে না। এর ফলে তেতোও বেশি লাগবে না। করলা ঢেকে রান্না করলেও তেতো হয়ে যায়
করলাভাজা রান্না করতে হলে সঙ্গে কয়েকটা আলু কুচি করে নিতে পারেন। আলু থাকলে করলার তেতো ভাবটা কমে যাবে অনেকটাই। করলা ভাজতে লোহা বা পিতলের কড়াই ব্যবহার করবেন না, এতে বেশি তেতো লাগে
কুমড়ো, পেঁয়াজ দিয়েও করলা ভেজে খেতে পারেন। গরম ভাতে একটু আম কাসুন্দি আর এই করলা ভাজা একসঙ্গে মেখে খান। এতে খেতে ভাল লাগবে আর জ্বরের মুখে খেলে মুখও ছাড়বে