দশমী এক রাশ মন খারাপ নিয়ে আসে। আবার এক বছরের প্রতীক্ষা। কিন্তু দুর্গাপুজোর রেশ এখনও শেষ হয়নি। মা বিদায় নেওয়ার পরই শুরু হবে বিজয়া প্রণাম। আর বিজয়ার প্রণাম করলে খালি মুখে তো কাউকে ফিরে যেতে দেওয়া যায় না। এক সময় দশমীর সকাল থেকেই বাংলার প্রতিটা হেঁশেলে শুরু হয়ে যেত তোড়জোড়। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি থেকে নোনতা খাবার তৈরি হত। এটাই বাঙালির বিজয়ার রেওয়াজ। সন্দেশ থেকে শুরু করে ঘুগনি, নিমকি সবই তৈরি হত।
একান্নবর্তী পরিবারে চার-পাঁচ রকম পদ রান্না করা খুব একটা ঝক্কির কাজ নয়। কিন্তু এখন সিংহভাগ বাঙালির ছোট সংসার। সব দায়িত্ব পালন করে পাঁচ রকমের রান্না করা সম্ভব নয়। তবু আজকের দিনটা আবার এক বছর পর আসবে। তাই চাইলেই কিছু পদ রাঁধতে পারেন আপনিও। এমনই তিনটি পদের সন্ধান রইল, যা যুগ-যুগ ধরে দশমীর দিন বাঙালির হেঁশেলে তৈরি হচ্ছে। আর এসব পদ রাঁধতে বেশি সময়ও যায় না। তাই চটপদ দেখে নিন নিমকি ও সন্দেশের রেসিপি।
নিমকি: একসঙ্গে একটু বেশি পরিমাণ ময়দা মেখে নিলে খাটুনি কম হবে। ময়দায় নুন, কালোজিরে, সোডা ও তেল দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। ময়ান দেওয়ায় ভুল হলেই নিমকি মুচমুচে হবে না। ময়দা মাখা হয়ে গেলে ডো-তে তেল মাখিয়ে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর বড় লেচি বানিয়ে পাতলা করে বেলে নিন। তারপর ছুরির সাহায্যে নিমকির আকারে ছোট-ছোট করে কেটে নিন। কড়াইতে সাদা তেল গরম করুন। ডুবো তেলে নিমকি ভেজে নিলেই কাজ শেষ। এয়ার টাইট কৌটোতে ভরে রাখলে বিজয়ার পরও নিমকি মুচমুচে থাকবে।
সন্দেশ: দোকানে ছানার তৈরি সন্দেশ পেয়ে যাবেন। বাড়িতে নারকেল দিয়ে সন্দেশ বানান। প্রথমে একটা নারকেল কুড়ে নিন। তারপর এই নারকেল কোড়া মিক্সিতে দিয়ে মিহি পেস্ট করে নিন। গ্যাসে কড়াই চাপিয়ে এবং এতে নারকেলের পেস্ট দিয়ে ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। পরিমাণমতো চিনি ও দুধ মিশিয়ে নাড়তে থাকুন। খেয়াল রাখুন নারকেলের মিশ্রণ যেন কড়াইতে লেগে না যায়। পাক তৈরি হয়ে গেলে গ্যাস বন্ধ করে একটি থালায় মিশ্রণটি ঢেলে দিন। ঠান্ডা হলে হাতে করে গড়ে নিন নারকেলের সন্দেশ। মনের মতো আকার দিতে পারেন বিজয়ার সন্দেশ।