উৎসবের আমেজে কেউ ডায়েট নিয়ে মাথা ঘামায় না। বরং, বাঙালি এ সময় কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে ভালবাসে। কচি পাঁঠার ঝোল থেকে পনিরের তৈরি নবরত্ন কারি, সবই থাকে পুজোর মেন্যুতে।
পুজোর সময় অনেকেই নিরামিষ খাবার পছন্দ করেন। যদিও আজ দশমী। দেবীর বিদায় নেওয়ার পালা। কিন্তু ভূরিভোজে কোনও খমতি নেই। নিরামিষ খাবার হিসেবে আপনি বেছে নিতে পারেন পনিরকে।
পনির দিয়ে একাধিক পদ রান্না করা যায়। কিন্তু সমস্যা হল, পনির ভাজার সময় শক্ত হয়ে যায়। সেই শক্ত পনির আপনি যতই মশলাদার উপায়ে বানান না কেন, তার স্বাদ পাওয়া যায় না। এই পরিস্থিতিতে পনিরকে নরম তুলতুলে করার টোটকা জেনে রাখা দরকার।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পনির ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়। ফ্রিজে পনির সংরক্ষণ করার সময় এয়ারটাইট কৌটো ব্যবহার করুন। এতে পনির বায়ুর সংস্পর্শে আসবে না এবং পনির শক্ত হবে না। এই উপায়ে পনির সংরক্ষণ করলে রান্নার সময় নরম হবে।
ফ্রিজ থেকে পনির বের করে সরাসরি রান্না করার ভুল আপনিও করেন? এতেই আপনার পনির শক্ত হয়ে যায়। ফ্রিজ থেকে পনিরকে প্রথমে ঘরের তাপমাত্রায় আসতে দিন। তারপরেই রান্না শুরু করুন। এতে পনিরের স্বাদও বাড়বে।
ভাল মানের পনির হলে খুব বেশি সমস্যা দেখা দেয় না। তবে, আপনি চাইলে প্রথমে পনির সেদ্ধ করে নিয়ে রান্না শুরু করতে পারেন। ফুটন্ত গরমে জলে পনির দিয়ে মিনিট পনেরো ফুটিয়ে নিলেই হবে। এতে পনির নরম তুলতুলে হয়ে উঠবে।
ফুটন্ত গরমে জলে পনির না ফুটিয়েও আপনি এটিকে নরম করে তুলতে পারেন। গরম জলের মধ্যে মিনিট পাঁচেক পনিরটা ডুবিয়ে রাখুন। এতে আপনার পনির দ্রুত রান্না হয়ে যাবে এবং মুখে দিলেই এটি মিলিয়ে যাবে।
যে কোনও রান্নায় পনির শেষ যোগ করুন। প্রথমে মশলা দিয়ে গ্রেভি বানিয়ে নিন। সমস্ত মশলা কষিয়ে নেওয়া পর পনির যোগ করুন। এতে যে কোনও পনিরের পদের স্বাদ বাড়বে। পাশাপাশি পনির মুখ দিলেই মিলিয়ে যাবে।