মেঘ-বাদলের খামখেয়ালিপনার মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর কাউন্টডাউন। হাতে গুণে পুজো ঠিক আর ২ মাস। হয়ে গিয়েছে খুঁটি পুজোও। দোকানে দোকানে চলছে প্রচুর ছাড়। পুজোর শপিংও ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ভিড় জমেছে জিম আর পুষ্টিবিদদের দফতরেও। তবে এটা মাথায় রাখা প্রয়োজন যে, পুজো আসছে বলে এবং সুন্দর দেখাতে হবে বলেই যে ফ্যাট গলাতে হবে এমন নয়। সুস্থ থাকতে এবং ফিট থাকতেও কিন্তু এই অতিরিক্ত চর্বি ঝরিয়ে ফেলা প্রয়োজন। কারণ শরীরে অতিরিক্ত মেদ থাকলে সেখান থেকে আসে একাধিক সমস্যা। ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, ওবেসিটি, হরমোনের নানা সমস্যা জাঁকিয়ে বসে ওজন বাড়লে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে অধিকাংশ মানুষই ভুগছেন ওবেসিটিতে। আর সেই কারণেই বাড়ছে জটিলতাও।
মেদ বাড়লে পরিশ্রম করতে সমস্যা হয়। শরীরে এনার্জি কমে যায়, অল্পেই শরীর হাঁপিয়ে যায়। তাই মেদ ঝরিয়ে ফেলা খুবই জরুরি। এছাড়াও পছন্দের পোশাকে ফিট হতে গেলে এবং সুন্দর দেখাতে হলে অতিরিক্ত মেদ ঝরাতেই হবে। যে কারণে রোজ শরীরচর্চা করতেই হবে। কাজোর চাপে এখন কারোরই শরীরচর্চা করার মত অতিরিক্ত সময় থাকে না। তবে এই ব্যস্ত শেডিউল থেকেই সময় বের করে নিতে হবে নিজের জন্য। সেই সঙ্গে রোজ সকালে নিয় করে চুমুক দিন এই কয়েকটি পানীয়তে। এছাড়াও খাবারের পরিমাণ বেঁধে দিন। দিনের মধ্যে ৫০ গ্রাম চালের ভাত, ২ টো রুটি, প্রচুর পরিমাণ সবজি আর ফল রাখুন ডায়েটে। চিনি, কেক, কুকিজ এসব একেবারেই চলবে না। খিদে পেলে স্বাস্থ্যকর খাবার খান। ফাস্ট ফুড ভুলেও ছোঁবেন না। এছাড়াও কফি আর দারুচিনি দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন এই বিশেষ পানীয়।
কফির মধ্যে থাকে পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ক্ষতিকারক মুক্ত র্যাডিকেলগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। এছাড়াও শরীরে এনার্জি বাড়াতে, মন খারাপ দূর করতে, টাইপ ২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে এবং লিভার ভাল রাখতে ভূমিকা রয়েছে কফির। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল রোস্টেড কফি বিনস। মশলা হিসেবেও খুব উপকারী হল দারুচিনি। দারুচিনির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য। যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। কোলেস্টেরল রাখে নিয়ন্ত্রণে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ভূমিকা রয়েছে এই দারুচিনির।
কী ভাবে বানাবেন এই পানীয়?
একটি পাত্রে বড় একগ্লাস জল গরম করতে বসান। এর মধ্যে ফেলে দিন দু টকরো দারুচিনি। জল ভাল করে ফুটে গেলে তা ছেঁকে নিয়ে ওর মধ্যে বড় এক চামচ কফি গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এবার ওর মধ্যে হাফ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। খালি পেটে এই ড্রিংক খেলে ৭ দিনের মধ্যেই গলবে চর্বি। সেই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে থাকবে সুগারও।