আমাদের রোজকার খাদ্যাভ্যাসই প্রভাব ফেলে আমাদের রোজকার জীবনযাত্রায় ( Daily Lifestyle)। ঠিক সময়ে খাওয়ার অভ্যাস থাকলে যেমন খাবার হজম হতে সময় লাগে না তেমনই ওজনও (Weight Loss) কমে। এছাড়াও ব্লাড সুগার, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা রয়েছে খাদ্যাভ্যাসের। শীতকালে শরীর উষ্ণ রাখতে আমরা যেমন সেই রকম খাবার বেছে নিই তেমনই গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সেই মত সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ গরমে শরীর বেশি পরিমাণে হাইড্রেট রাখা কিন্তু জরুরি। সেই কারণে যে সব সবজির মধ্যে জলের পরিমাণ বেশি এমন সব সবজিই বেশি করে রাখুন খাদ্যতালিকায়। মৌসুমী ফল বেশি করে খান। রোজকার এই সবজি আর ফলেই কিন্তু আমাদের শরীর থাকবে সুস্থ। সেই সঙ্গে ঝরবে ওজনও। এছাড়াও হার্ট ভাল রাখতে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবারও খুব জরুরি। অন্যান্য সময়ের তুলনায় গরমে ওজন কমানো তুলনায় অনেকটাই সহজ। দেখে নিন যে সব খাবার রাখবেন গ্রীষ্মের ডায়েটে (Summer Diet)-
তরমুজ- সারাবছর এখন তরমুজ পাওয়া গেলেও গরমকালে তরমুজের স্বাদই আলাদা। তরমুজের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে জল। সেই সঙ্গে ক্যালোরি একেবারেই নেই। আর তাই নিয়মিত তরমুজ খেতে পারলে যেমন শরীরে জলের চাহিদা পূরণ হয় তেমনই ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে। এছাড়াও তরমুজের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅকিসিডেন্ট, লাইকোপেনে। যা আমাদের বিভিন্ন ক্রনিক সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করে।
শসা- শরীর ঠান্ডা রাখতে শসার অনেক ভূমিকা রয়েছে। শসার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে জল। শসার মধ্যে থাকে ফাইবারও। এছাড়াও থাকে ভিটামিন কে, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম যা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত শসা খেলে অন্য কিছু খাবার ইচ্ছেও থাকে না। হার্টের জন্যও খুব ভাল শসা।
লাউ- গরম কালে বেশি করে লাউ খান। লাউয়ের মধ্যেও থাকে প্রচুর পরিমাণে জল। লাউ যেমন শরীর ঠান্ডা রাখে তেমনই দ্রুত হজমও করায়। লাউয়ের মধ্যে থাকে ৯২ শতাংশ জল, থাকে ফাইবারও। তাই ওজন কমাতেও ভীষণ উপকারী।
ক্যাপসিকাম- যে কোনও রান্নাতেই অন্যতম স্বাদ এনে দেয় ক্যাপসিকাম। এছাড়াও ক্যাপসিকামের মধ্যে যে ফাইটোকেমিক্যাল থাকে তা আমাদের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে হজমের সমস্যা মেটে, ওজনও কমে। স্যালাড ও যে কোনও রান্নাতেই ব্যবহার করতে পারেন ক্যাপসিকাম।
ঢ্যাঁড়শ- ঢ্যাঁড়শের মধ্যেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ জল। সেই সঙ্গে আছে ভিটামিন সি। আছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। কোলেস্টেরল এবং অ্যাজমার সমস্যায় খুবই উপকারী এই সবজি