Cooking tips: রান্নার সময় তেল কিংবা ঘি অতিরিক্ত গরম করবেন না, শরীরের জন্য হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি!সতর্কবাণী বিশেষজ্ঞদের
Cooking oil: অনেকেই মনে করেন কড়াইতে সর্ষের তেল দিয়ে তা থেকে ধোঁয়া উঠলে তবেই ফোড়ন কিংবা মাছ দিতে হয়। কিন্তু এই ধারণা ঠিক নয়। এতে তেলের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
রান্নাও কিন্তু একরকম শিল্প। সেই সঙ্গে লজড়িয়ে আছে বিক্ষানও। আর তাই রান্নার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকুন। কারণ কী ভাবে রান্না করছেন, কোন কোন উপাদানে রান্না করছেন তার উপরই কিন্তু নির্ভর করে কোনও খাবারের পুষ্টিগুণ। আর তাই রান্নার সময় বিশেষ যত্ন নিতে হবে। তেল-মশলা যেমন যথাযথ পরিমাণে ব্যবহার করবেন তেমনই কিন্তু সবজিও কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তবে একটা সাধারণ ভুল কিন্তু সকলেই করে থাকেন। আর এই ভুল স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ভাল নয়।
অনেকেই কড়াইতে তেল দিয়ে অপেক্ষা করেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না ধোঁয়া উঠছে ততক্ষণ পর্যন্ত মাছ কিংবা সবজি কড়াইতে দেন না। আর এতেই লুকিয়ে বিপদ। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় তেল, ঘি কিন্তু প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। কিন্তু তার সঠিক ব্যবহারও জানতে হবে। কারণ তেল বেশি গরম হয়ে গেলে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তা ভেঙে গিয়ে তৈরি করে জটিল যৌগ। আর যা শরীরের জন্য খুব খারাপ। যে কারণে পোড়া তেলে তৈরি খাবার খেতে মানা করেন বাড়ির বড়রা।
অনেকের মধ্যেই এই ভুল ধারণা রয়েছে যে, তেল থেকে ধোঁয়া না ওঠা অবধি ফোড়ন দিতে নেই। কারণ তাতে নাকি কাঁচা গন্ধ ওঠে। এছাড়াও তেল গরম না হলে মাছ ছাড়তে নেই, তাতে মাছ ভেঙে যেতে পারে।
প্রতিটা তেলের নির্দিষ্ট স্মোকিং পয়েন্ট রয়েছে। সেই পয়েন্টের বাইরে গেলেই কিন্তু তেল থেকে ধোঁয়া ওঠে। প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড ভেঙে যায়, সেই সঙ্গে ভিটামিন ভেঙে গিয়ে ক্ষতিকর যৌগ তৈরি করে। যা মূলত অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড। আর এই সব ফ্যাটি অ্যাসিডই কিন্তু হার্টের জন্য খুব ক্ষতিকর। সেই সঙ্গে শরীরে বাজে কোলেস্টেরল জমতে সাহায্য করে। যেখান থেকে বাড়ে হার্ট অ্যার্টাকের ঝুঁকি। সেই সঙ্গে তেল গরম করলে পুষ্টি এবং ফাইটোকেমিক্যালস গুলি নষ্ট হয়ে যায়। সেই সঙ্গে তৈরি হয় বিষাক্ত গ্যাসও। যার জন্য তেলের ধোঁয়ায় আমাদের চোখ জ্বালা করে।
সেই সঙ্গে তেল অতিরিক্ত গরম হলে তা ভেঙে তৈরি হয় হাইড্রোপেরক্সাইড। যার কারণে অ্যালডিহাইডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এই বিষাক্ত রাসায়নিক অ্যালডিহাইড কোশে অক্সিডেটিভ তৈরি করে, যে খান থেকে তৈরি হয় নানা জটিল সমস্যা। ডায়াবিটিস, হার্টের সমস্যা, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড সব কিছুর মাত্রা কিন্তু নির্ভর করে তেলের উপর। তেল উপযুক্ত ভাবে ব্যবহার করতে না পারলেই এই সব সমস্যা হবে।
৪০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি তাপমাত্রায় যে সব তেল গরম করা যাবে
অ্যাভোকাডো অয়েল ক্যানোলা অয়েল কর্ন অয়েল পিনাট অয়েল
২২৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটে যে সব তেল গরম করবেন
ফ্ল্যাক্সসিডস অয়েল পামকিন অয়েল ওয়ালনাট অয়েল
সরষের তেল কিংবা অলিভ অয়েলের স্মোকিং পয়েন্ট কিন্তু ব৪০০ এর নীচে। ২০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের নীচে যে সব তেলের স্মোকিং পয়েন্ট তাদের স্যালাডের ড্রেসিং হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুন: Radish paratha: ডায়াবিটিস থেকে হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণে রাখবে পুরভরা এই পরোটা ! কীভাবে? জানুন…