‘ভেজাল, ভেজাল, ভেজাল রে ভাই, ভেজাল সারা দেশটায়,
ভেজাল ছাড়া খাঁটি জিনিস মিলবে নাকো চেষ্টায়!’- আজকাল এমনই অবস্থা দাঁড়িয়েছে যে ভেজাল ছাড়া কিছুই পাওয়া যায় না। খাদ্য সামগ্রীতে ভেজাল আগেও ছিল এখন মানুষের মনেও ভেজাল। ভেজাল তেল, ভেজাল চাল, আটা, মশলা- গুণতে শুরু করলে শেষ হবে না। দুধে জল মেশানো আগেও ছিল ইদানিং কালে তা অনেক বেশি বেড়েছে। ভেজাল খেয়ে আমরাও এমন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে আসল আর নকলের ফারাক করতে পারি না। ভেজাল খাবার দিনের পর দিন খেলে শরীরের উপর তার প্রভাব পড়বেই। পেটের অসুখ, হজমের অসুখ এসব লেগে থাকে। ইদানিং কালে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, ইউরিক অ্যাসিডে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে । এর মূল কারণ কিন্তু আমাদের খাদ্যাভ্যাস। রোজকার চেনা এই সব খাবারে ভেজাল মিশছে নাকি তা পরীক্ষা করুন মাত্র একগ্লাস জলেই।
শীত মানেই সব বাড়িতে রোজ মধু খাওয়ার চল রয়েছে। এক গ্লাস জলে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন ভাল করে। এবার সেই মধু যদি গ্লাসের তলায় থিতু হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে মধু খাঁটি। যদি তা জলে মিশে যায় তাহলে বুঝতে হবে মধুতে ভেজাল রয়েছে।
গোলমরিচও বাড়িতে রোজ ব্যবহার করা হয়। গোটা গোলমরিচ ভাল করে গুঁড়ো করে নিন। এবার একগ্লাস জলে তা মিশিয়ে দিন। গোলমরিচের মধ্যে ভেজাল মেশানো থাকলে সেই গুঁড়ো উপরে ভাসবে। আর খাঁটি হলে তা জলে মিশে যাবে।
শীতকালে সর্দি কাশির সমস্যা বাড়ে। সেই সঙ্গে লবঙ্গের ব্যবহার বাড়ে। একগ্লাস জলে লবঙ্গ দানা মিশিয়ে নিন। ভেজাল হলে উপরে ভেসে থাকবে আর আসল হলে জলে মিশে যাবে।
নারকেল তেল খাঁটি নাকি ভেজাল তা সহজেই বোঝা যায়। শীতে সব বাড়িতেই নারকেল তেল ব্যবহার করা হয়। খাঁটি নারকেল তেল হলে তা ঠাণ্ডায় জমে যাবে। আর নকল হলে কিছুতেই জমবে না। ফ্রিজের ঠাণ্ডাতেও তা তরল থাকবে। এই ভাবে নারকেল তেলের ফারাক করতে পারবেন।
হিং এর বিশুদ্ধতা বুঝতে জল নয় আগুন ব্যবহার করুন। একটি স্টিলের চামচে সামান্য হিং রেখে আগুনে ধরুন। যদি হিং কপূর্রের মত জ্বলে ওঠে তাহলে তা খাঁটি হিং যদি নকল হয় তাহলে তা ঠিকমতো পুড়বে না।