Begun Basanti: অষ্টমীর নিরামিষ ডিনারে হলুদ পোলাওয়ের সঙ্গে বানিয়ে নিন বেগুন বাসন্তী, কাটবে একঘেঁয়েমি
Ashtami Bhog: মশলা ভাল করে কষানো হয়ে গেলে তার মধ্যে সরষে বাটা ও পোস্ত বাটা দিন। ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। এ বার তার মধ্যে একে একে নারকেল দুধ, চিনি দিয়ে মেশানো ফেটানো দই, স্বাদ অনুযায়ী নুন আর চিনি দিন। ভাল করে কষতে থাকুন আবার। আঁচ একেবারে কমিয়ে দিন
অষ্টমীর দিন অধিকাংশ বাড়িতেই নিরামিষ খাওয়ার চল রয়েছে। অষ্টমীর অঞ্জলি, সন্ধিপুজোর উপোস যাঁরা করেন তাঁরা নিরামিষ খাবার খান, শুধু তাই নয় এদিন বাইরের খাবারের ছোঁয়াও খান না অনেকে। পুজোর দিন বাড়িতে ভালমন্দ খেতে কার না ইচ্ছে করে। একঘেঁয়ে পনির, আলুর দম কাঁহাতক আর কত খাওয়া যায়। দুপুরে লুচি খাওয়া হয় বলে অনেকেই আর রাতে লুচি খেতে চান না। এক্ষেত্রে বানিয়ে নিতে পারেন বাসন্তী পোলাও। স্বাদবদলে পোলাওয়ের সঙ্গে বানিয়ে নিন বেগুন বাসন্তী। অনেকেই বেগুন ভাজা বা বেগুনি খেতে পছন্দ করেন না। তবে হালকা মশলায় বানানো সম্পূর্ণ নিরামই, এই রেসিপি পোলাওয়ের সঙ্গে দারুণ জমে। বাইরের খাবার বা মাছ মাংস না খেলেও এই দিনটা নিরামিষ খেতে ইচ্ছে করে।
রাতে এই রস্যাল রেসিপি ঝটপট বানিয়ে নেওয়া যায়। এর জন্য উপকরণও বিশেষ লাগে না। দেখে নিন তা কী ভাবে বানাবেন। বেগুন বাসন্তী এমনিতে খেতে লাগে টক মিষ্টি। সাবেক কালের এই রান্না স্বচ্ছন্দেই রেঁধে দিতে পারেন অতিথিদের।
উপকরণ
বেগুন – ৪ থেকে ৬ টি (একটু সরু এবং লম্বাটে দেখে নেবেন), কালো সরষে বাটা – ২ টেবিল চামচ, পোস্ত বাটা – ২ টেবিল চামচ, কালো জিরে – আধ চা চামচ, গোটা কালো সরষে – আধ চা চামচ, গোটা শুকনো লঙ্কা – ২ টি, আদা বাটা – আধ চা চামচ, কাঁচা লঙ্কা বাটা – ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো – আধ চা চামচ, নারকেল বাটা – ২ টেবিল চামচ, নারকেলের দুধ – ১ কাপ, সরষের তেল – পরিমাণ মতো, নুন – স্বাদ অনুযায়ী, চিনি – ১ টেবিল চামচ, টক দই – ২ টেবিল চামচ
গোটা বেগুনটাকে বোঁটা সমেত লম্বালম্বি ৪ ভাগ করে কেটে নিন। এ ভাবে প্রত্যেকটা বেগুনই ফালা করে কেটে রাখুন। ভাল করে ধুয়ে, জল ঝরিয়ে বেগুনের টুকরোগুলোর গায়ে সামান্য নুন আর হলুদ মাখিয়ে রাখতে হবে। গ্যাসের কড়াই বসিয়ে বেগুন ভাজার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ মতো সরষের তেল গরম করতে হবে। খেয়াল করবেন, কম তেলে বেগুন রান্না করলে তার স্বাদ খোলতাই হয় না। তেল থেকে ধোঁয়া উঠতে শুরু করলে নুন আর হলুদ মাখানো বেগুনগুলো দিয়ে উল্টেপাল্টে ভাল ভাবে ভেজে তুলে নিতে হবে। বেগুনের টুকরো লালচে হতে শুরু করলেই তুলে নেবেন, অতিরিক্ত ভাজবেন না। এর পর ওই কড়াইতেই আরও একটু খানি তেল দিতে হবে। এই রান্নায় তেল একটু বেশিই লাগে। তেল গরম হয়ে গেলে তার মধ্যে কালো জিরে, কালো সরষে ও শুকনো লঙ্কা দিয়ে নেড়েচেড়ে ভেজে নিতে হবে। ফোড়নের গন্ধ বেরনো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ফোড়ন ভাজা হয়ে গেলে গ্যাসের আঁচ কমিয়ে নিন। এ বার তার মধ্যে একে একে আদা বাটা, কাঁচা লঙ্কা বাটা, নারকেল বাটা ও হলুদ গুঁড়ো দিয়ে কষতে থাকুন। অন্য দিকে টক দই ফেটিয়ে রাখুন। সেই দইয়েই আগে থেকে চিনি মিশিয়ে রাখুন।
মশলা ভাল করে কষানো হয়ে গেলে তার মধ্যে সরষে বাটা ও পোস্ত বাটা দিন। ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। এ বার তার মধ্যে একে একে নারকেল দুধ, চিনি দিয়ে মেশানো ফেটানো দই, স্বাদ অনুযায়ী নুন আর চিনি দিন। ভাল করে কষতে থাকুন আবার। আঁচ একেবারে কমিয়ে দিন। এ বার প্রয়োজন পড়লে সামান্য জল দিতে পারেন। ঝোল ফুটে উঠলে ভেজে রাখা বেগুনগুলো দিয়ে দিতে হবে। কিছু ক্ষণের মধ্যে ঝোল একটু মরে এসে মাখা মাখা হয়ে গেলে ১ টেবিল চামচ সরষের তেল ছড়িয়ে দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিতে হবে। মিনিট তিনেক রেখে নামিয়ে নিন।