International Tea Day 2022: আজ সারা বিশ্বজুড়ে চা নিয়ে মাতামাতির দিন! চায়ের ইতিহাস ও তাত্‍পর্য জানা আছে?

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

May 21, 2022 | 9:34 AM

History and Significance: ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশ ও দক্ষিণ-পশ্চিম চিন থেকে চায়ের উত্‍পত্তি বলে মনে করা হয়। শুধু তাই নয়, চা উত্‍পাদন এখনও জীবিকার অন্যতম উত্‍স বলা চলে।

International Tea Day 2022: আজ সারা বিশ্বজুড়ে চা নিয়ে মাতামাতির দিন! চায়ের ইতিহাস ও তাত্‍পর্য জানা আছে?

Follow Us

আজ আন্তর্জাতিক চা দিবস (International Tea Day)। দিনটিকে উদযাপন করছে সারা বিশ্ব। চায়ের ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই দিন উদযাপন করা হয়। ২০১৯ সালে পৃথিবীর পুরনো পানীয়গুলোর গুরুত্ব স্বীকার করতে থাকে ইউনাইটেড নেশনস (United Nations)। বলা হয়, চা ওষুধের কাজও করে এবং মানুষের জন্য স্বাস্থ্য উপকারী। চা হল এমন একটি পানীয়, যা সারা বিশ্বেই জনপ্রিয়। প্রায় প্রতিটি শহরেই এই পানীয়ের চল রয়েছে। ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশ ও দক্ষিণ-পশ্চিম চিন থেকে চায়ের উত্‍পত্তি বলে মনে করা হয়। শুধু তাই নয়, চা উত্‍পাদন এখনও জীবিকার অন্যতম উত্‍স বলা চলে। অন্যান্য পানীয়ের তুলনায় চায়ের জনপ্রিয়তা দিনে দিনে বেড়ে চলেছে। কর্মসংস্থান, সংস্কৃতি ও ব্যবসায় এর প্রভাব রয়েছে বিস্তর।

ইতিহাস এবং তাৎপর্য

প্রতি বছর ২১ মে পালিত হয় বিশ্ব চা দিবস। চায়ের গুরুত্বের উপর জোর দেওয়ার জন্য এবং চা উৎপাদনে ব্যাপক প্রসার ঘটাতে দেশগুলিকে নির্দেশনা প্রদান করাই মূল উদ্দেশ্য। জাতিসংঘের লক্ষ্য ছিল আন্তর্জাতিক চা দিবস পালনের মাধ্যমে চা উৎপাদনকারী দেশগুলিকে সহায়তা করা। বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন এবং মাটির ক্ষয়-এর মত গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, এই দিনটি ব্যাপকভাবে ব্যবহারকারী ফসলের টেকসই চাষের জন্য কাজ করার একটি দুর্দান্ত উদ্যোগের নাম হল চা।

চায়ের জন্ম ও জনপ্রিয়তা নিয়ে তিব্বতি উপকথার প্রচলন আছে। তিব্বতের রাজকুমার ধর্ম একদা বসেছিলেন কঠোর তপস্যায়। সেই তপস্যা সার্থক না হওয়ায়, মানুষের উপকারের দৈব ক্ষমতা অর্জন করতে না পারার ক্ষোভে তিনি নিজের চোখের দুই পাতা উপড়ে ফেলে দেন! সেই পাতা থেকে দেখতে দেখতে দু’টি পাতা একটি কুঁড়ির চা-গাছ জন্ম নেয়। ধর্মের চোখ এই ভাবে মহান উপকার সাধন করে সভ্যতার, তাকে উপহার দেয় এক স্বাস্থ্যকর পানীয়। যদিও এটি একটি পৌরাণিক কাহিনি, তবুও চিন, তিব্বতে চায়ের জনপ্রিয়তা বিশ্বে অন্য়ান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি।

আকর্ষণীয় তথ্য

আন্তর্জাতিক চা দিবস ইউনাইটেড নেশনসের খাদ্য ও কৃষি বিভাগ থেকে উদযাপিত হয়। এর আগে ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, মালয়েশিয়া, উগান্ডা, ভারত এবং তানজানিয়ায় বিশ্ব চা দিবস উদযাপিত হত। তবে ২০১৯ সাল থেকে ২১ মে চা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

– প্রায় ৩ হাজারের বেশি চায়ের প্রকারভেদ রয়েছে।

– চায়ের ক্যাফেইনের পরিমাণ কফির চেয়ে বেশি।

– ১৮ শতকে চায়ের জনপ্রিয়তা তেমন ছিল না। এটি কটি অত্যন্ত মূল্যবান জিনিস হিসেবে বিবেচনা করা হত।

– ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউশন একটি নিখুঁতভাবে এক কাপ চা তৈরির জন্য অফিসিয়াল নির্দেশিকা ঘোষণা করেছে।

Next Article