করোনার জেরে লকডাউন পরিস্থিতিতেই চলছে জামাইষষ্ঠী পালন। ফলে বাপের বাড়িতে অনেক জামাই-ই আসতে পারেননি এই বিশেষ দিনে। তাতে কী, মেয়ে-জামাইকে কাছে না পেলেও তাঁদের মঙ্গলকামনায় কোনও ঘাটতি রাখতে চাননা শ্বশুড়-শাশুড়ি। আর্শীবাদের সঙ্গে সঙ্গে পেটপুজোরও আয়োজন করেছেন তাঁরা। লকডাউন, ইয়াশের জেরে জামাইষষ্ঠী দিনটির গায়ে বিশেষ পরিবর্তনের গন্ধ লেগেছে।
বাজারে ইলিশ মাছের দামের ছ্যাঁকায় মধ্যবিত্তের হাত পুড়েছে। এমনিতেই ইলিশ মাছের আকাল। তাতেও এই বিশেষ দিনে জামাইকে ইলিশ মাছ না খাওয়ালে বাঙালির মনে তৃপ্তি হয় না। দই ইলিশ, ভাপা ইলিশের প্রেমে এখনও মজে বাঙালি। এবার একটু অন্যরকম রেঁধে জামাইকে তাক লাগাতে পারেন। বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ইলিশ মাছের পদ হল বরিশালী ইলিশ।
বরিশালী ইলিশ রান্না করার আগে দেখে নেওয়া যাক, কী কী উপকরণ লাগে…
– ৪ পিস ইলিশ মাছের গাদা, ১ টেবিলস্পুন নারকেল বাটা, হাফ কাপ নারকেলের দুধ, ১ টেবিলস্পুন সর্ষে বাটা, ২ টেবিলস্পুন পোস্তো বাটা, হাফ চা চামচ আদা বাটা, ৪টি কাঁচা লঙ্কা, ১ চা চামচ হলুদগুঁড়ো, ১ চা চামচ শুকনো লংকার গুঁড়ো, স্বাদমতো নুন, হাফ চা চামচ কালো জিরে, হাফ কাপ সরষের তেল
আরও পড়ুন: জামাইষষ্ঠী কেন পালন করা হয়? এবছর ষষ্ঠীর দিনক্ষণ জেনে নিন
এবার কীভাবে বানাবেন, তা দেখে নিন…
প্রথমে মাছের পিসগুলিতে নুন ও হলুদ মাখিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন। এরপর সরষের তেলে হালকা ভেজে তুলে রাখুন।
এরপর একটি পাত্রের মধ্যে পোস্তো বাটা, সর্ষে বাটা, আদাবাটা, নুন, হলুদ গুঁড়ো, শুকনো লংকার গুঁড়ো ও সামান্য জল দিয়ে একটি পেস্ট বানান। এবার যে তেলে মাছ ভেজেছিলেন, তাতে আরও একটু সরষের তেল ঢেলে গরম করুন। তেল গরম হলে তাতে কালো জিরে আর কাঁচা লংকা ফোড়ণ দিন। অল্প নেড়ে তাতে যে পেস্টটি বানিয়েছিলেন, সেটি এবার দিয়ে দিন। মশলা থেকে তেল ছাড়লে তাতে নারকেল বাটা ও নারকেলের দুধ দিয়ে হালকা নেড়ে পাত্রের উপর একটা ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন।
মশলাটি সামান্য ঘন হয়ে এলে তাতে ভাজা ইলিশ মাছগুলি দিয়ে আরও ২-৩টি কাঁচা লংকা দিয়ে ফের ঢাকনাটি দিয়ে দিন। মাখা মাখা মশলা হয়ে গেলে তাতে কাঁচা সরষের তেল ছড়িয়ে দিন। কাঁচা সরষের গন্ধ যাতে বাইরে না যায়, পাত্রের ঢাকনাটি ১০ মিনিট রেখে দিন। সাদা বাসমতি বা সেদ্ধ ভাতের সঙ্গে গরম গরম বরিশালী ইলিশ মাছ পরিবেশন করুন।