পাহাড়ি এলাকাতে সারাবছরই এই ফল প্রচুর পরিমাণে পাওয়া গেলেও আমাদের রাজ্যে একমাত্র বর্ষাতেই এর ফলন সবচাইতে বেশি। আর এই ফলের উপকারিতা অনেক। ন্যাশপাতির খোসা একটু শক্ত আর এর মধ্যে ছোট ছোট বীজ থাকে। স্বাদে মিষ্টি থেকে টক- এরকমই হয় ন্যাশপাতি। তবে যেহেতু এই ন্যাশপাতি বর্ষার ফল তাই এই সময় এই ফলের স্বাদ হয় ভীষণ মিষ্টি। এই ফল খোসা সহ খাওয়া যায়। এর মধ্যে থাকে ফাইবার, ভিটামিন সি, সোডিয়াম, আয়রন। আর তাই এই ফল চিবিয়ে খেলে খুবই উপকার পাওয়া যায়। নিয়মিত ভাবে ন্যাশপাতি খেলে অনেক রকম উপকার পাওয়া যায়।
ওজন বেড়ে যাওয়া, হার্টের সমস্যা, স্ট্রোক, ফ্যাটি লিভার এসব এখন খুবই সাধারণ সমস্যা। আর তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি। ন্যাশপাতির মধ্যে এতটাই ফাইবার থাকে যা একাধিক রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। যাঁরা ডায়েট করছেন, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা নিয়মিত ভাবে ন্যাশপাতি খেলে অনেক উপকার পাবেন। ন্যাশপাতির মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ পেকটিন এবং ফাইবার যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে হৃদরোগ এবং হার্ট অ্যাটাক ঠেকাতেও তা খুব ভাল কাজ করে।
আজকাল অধিকাংশ মানুষের শরীরেই রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কম। এক্ষেত্রে নিয়মিত ভাবে ন্যাশপাতি খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ে। যে কোনও সংক্রমণ থেকেও সহজে মুক্তি পাওয়া যায়। আর এই ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে। যা চুল আর ত্বকের জন্যেও খুব ভাল। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোজ একটা করে ন্যাশপাতি খান। ন্যাশপাতির মধ্যে থাকে ইউরসোলিক অ্যাসিড যা অ্যারোমাটেজ কার্যকলাপকে বাধা দেয় যার ফলে ক্যানসার প্রতিরোধ করে। ফলের মধ্যে উপস্থিত Isoquercitrin সুস্থ DNA বজায় রাখে। বর্ষায় বাড়ে যে কোনও সংক্রমণ জনিত রোগের প্রবণতা। আর তাই প্রাকৃতিক ভাবে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে এই বর্ষায় রোজ একটা করে ন্যাশপাতি খান। খোসা না ছাড়িয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন।