বরাবরই ভীষণ রকম ফিটনেস ফ্রিক শিল্পে শেট্টি ( Shilpa shetty)। নিয়মিত যোগা, স্যুইমিং থাকে তাঁর শরীরচর্চার (Fitness) রুটিনে। এছাড়াও সময়ে পেলেই মনেডিটেশন করেন। বরাবর নিজেকে কড়া রুটিনে বেঁধে রাখথে পছন্দ করেন শিল্পা। নিজের কাজ, দুই সন্তান আর সংসার সামলান নিপুন হস্তে। এছাড়াও রান্না করতে ভীষণই ভালবাসেন শিল্পা। তাঁর নিজস্ব একটি কুকিং চ্যানেলও রয়েছে। আর সেখানে কিন্তু যাবতীয় স্বাস্থ্যকর রেসিপি তাঁর সব ফ্যানেদের সঙ্গে শেয়ার করেন শিল্পা।
বাড়ি সংলগ্ন বাগানে বেশ কিছু সবজির চাষ করেছেন তিনি। সেই বাগান থেকে বেগুন, টমেটো, ধনেপাতা তুলে নিয়ে সরাসরি ব্যবহার করেন রান্না- এমনটা তিনি নিজেই ভিডিয়ো মারফত দেখিয়েছেন। তবে এবার শিল্পা পরিচয় করালেন তাঁর বাগানের এই সেলেব্রিটি ফলটির সঙ্গে। শুনেই অবাক হচ্ছেন তো!
সেই ফলটির ভিডিয়ো ইন্সটাগ্রামে শেয়ার করে শিল্পা লিখেছেন, কলেই জানেন গাছ থেকে ফুল তুলতে আমি কী ভালবাসি। আসুন আজ আমি পরিচয় করাই আমার বাগানের এই তারকা ফলটির সঙ্গে। শিল্পার এই ‘সেলেব্রিটি’ ফলটির সঙ্গে শহুরে ছেলেমেয়েরা তেমন পরিচিত না হলেও যাঁরা গ্রাম কিংবা শহরতলিতে বেড়ে উঠেছেন তাঁরা কিন্তু দিব্যি চিনতে পারবেন। ফলটি হল কামরাঙা (carambola)। এখনও গ্রামের দিকে বহু বাড়িতে রয়েছে এই কামরাঙা ফলের গাছ। শীতের দুপুরে কামরাঙা আর লুন-লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে মেখে খাবার স্বাদই আলাদা। এছাড়াও কামরাঙা দিয়ে আচার, চাটনি এই সব কিছুই বানানো হয়। আবার অনেকে জুস বানিয়েও খান। কমরাঙার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। কিন্তু এই ফলটি পরিচিত সমাজে বেশ উপেক্ষিত। এখন শরীরের প্রয়োজনে বারবার ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার কথা বলা হয়। কুল বা কামরাঙার মতো এই দেশীর ফলগুলি কিন্তু ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ। আর তাই তালিকায় রাখতেই পারেন।
শিল্পা জানিয়েছেন এই ,স্টার ফ্রুট বা কামরাঙা তিনি খান চাট মশলার সঙ্গে। তবে সব সময় পাকা কামরাঙা খাওয়ার চেষ্টা করবেন। পাকা কামরাঙা হলুদ রঙের হয়। এর কোনগুলো কেটে নিয়ে জুস বানিয়ে খান। স্বাদ কিন্তু ভীষণই ভাল হয়। এছাড়াও শিল্পা এই ফলের জুস বানিয়েও খান। শিল্পা রোজ সকালে ভীষণ তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠেন। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় তাঁর দিন। সূর্য নমস্কার, প্রাণায়ম, যোগা সেরে এক বাটি ফল খান খান তিনি। ওটাই তাঁর ব্রেকফাস্চ। সেই ফলের মদ্যে থাকে পেঁপে, স্ট্রবেরি , আপেল। এরপর ফল দিয়ে বানিয়ে একগ্লাস স্মুদি খান তিনি। ওটস কিংবা আমন্ডের আটা দিয়ে রুটি বানান। খিদে পেলে মুখে দেন প্রোটিন লাড্ডু। বাইরের খাবার ছুঁয়েও দেখেন না তিনি।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।