যদি ফিটনেসের প্রকৃত অর্থে কোনও মুখ থেকে থাকে, সেখানে অবশ্যই মিলিন্দ সোমনের নাম সবার ওপরেই থাকবে। তাঁর ফিট ও টোনড বডি দেখে এখনও অনেকেই ক্রাশ খায়। এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে তিনি ফিটনেস ফিক। স্বাস্থ্যকর খাবারের সঙ্গে নিয়মিত ওয়ার্কআউটও করেন তিনি। তবে এমনটা নয় যে তিনি তাঁর পছন্দের খাবার খান না। বরং মিলিন্দ জিলিপির প্রতি ভালবাসা কথা শেয়ার করলেন নিজের ইনস্টাগ্রামে।
সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি জিলিপে নিয়ে ছবি শেয়ার করেছেন মিলিন্দ। সেই পোস্টের ক্যাপশন লিখেছেন বেশ বড়-সর। তিনি বলেছেন যে, তিনি মাঝে মাঝেই জিলিপ খেতে ভালবাসেন। তিনি জানিয়েছেন যে ফিটনেস তাঁর কাছে, স্বাধীনতার জীবনকে বোঝায়, সীমাবদ্ধতাকে নয়। তিনি আরও লিখেছেন যে তিনি সেই সব কিছু উপভোগ করতে চান যেগুলি জীবন ও বিশ্ব তাঁকে দেবে। আর ফিট থাকার সঙ্গে কীভাবে এই নিজের পছন্দের খাবার ব্যালেন্স করে চলতে হয় সেটাও মিলিন্দ তাঁর অনুরাগীদের উদ্দেশে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, “যখন প্রসঙ্গ খাবারের আসে, তখন আমি মনে করি যে, কী-এর থেকে থেকে ‘কখন’ এবং ‘কতটা’ বেশি জরুরি।”
মিলিন্দ ক্যাপশনে লিখেছিলেন, “আমরা সবাই জানি কোন খাবার আমাদের জন্য ভাল এবং খারাপ। আমি শুধু ভাল বেশি খাই এবং খারাপটা কম খাই!” তাঁর কাছে এটি হল “আরও শাকসবজি ও ফল, এবং খুব কম পরিশোধিত চিনি”। তবে এই বিষয়টি নতুন নয়। মিলিন্দ প্রায়শই তাঁর অনুরাগীদের উদ্দেশে এই ধরনের পোস্ট করে থাকেন। যেখান থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, তিনি বেশি শস্য জাতীয় খাবার খান এবং প্রক্রিয়াজাত, প্যাকেটজাত এবং অত্যধিক পরিশুদ্ধ করা খাবার খান না।
এর আগেও মিলিন্দ জানিয়েছিলেন যে, তিনি দিনের শুরুতে বাদাম এবং ফল খান। মধ্যাহ্নভোজনের জন্য তিনি শাকসবজি ও ডাল ভাত খেতে ভালবাসেন কিংবা খিচুড়ি খান। আর এই খাবারে তিনি যোগ করেন মাত্র দু চামচ ঘি, যেটা বাড়িতেই তৈরি করা হয়। ভাতের বদলে তিনি সবজির সঙ্গে ছয়টি রুটি খেতে ভালবাসেন। মিলিন্দ খুব একটা ভালবাসেন না মাংস খেতে। তিনি খুব কমই খান চিকেন বা মাটন। এমনকি তিনি ব্ল্যাক টিয়ের সঙ্গে গুড় খান, চিনি নয়।
কিছুদিন আগেই স্ত্রী অঙ্কিতা কনওয়ারের সঙ্গে গুজরাট ট্রিপে গিয়েছিলেন মিলিন্দ। সেখানেও তিনি দারুণ উপভোগ করেছেন গুজরাটি থালি, তারও ছবি দিয়েছিলেন নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে। সুতরাং খাবারের ব্যাপারে যেমন মিলিন্দ সচেতন, তেমনই বজায় রাখেন তাঁর স্বাস্থ্য ও ফিটনেস। সুতরাং আপনি চাইলে অনুপ্রেরণা নিতে পারেন মিলিন্দ সোমানের থেকে!
আরও পড়ুন: কলার চিপস বিক্রি করতে গিয়ে দৃষ্টি হারিয়েছেন, তবুও পেশা ছাড়েননি এই বৃদ্ধ!