শীত পড়লেই বাড়ে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা। ঠান্ডা লাগা, সর্দি, কাশির ( Winter cough) মত সমস্যা লেগেই থাকে। এছাড়াও যাঁদের হাঁপানি, শ্বাসকষ্টের (respiratory diseases) সমস্যা থাকে তাঁরাও কিন্তু সবচেয়ে বেশি ভোগেন এই শীতেই। শীতে যে কোনও ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া থাকে অনেক বেশি সক্রিয়। সেই সঙ্গে বাইরের তাপমাত্রা থাকে কম। ফলে শরীরে রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা অনেকটাই কমজোরি হয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে করোনা (Covid-19)। হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। প্রতিদিন প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। আর তাই শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো খুবই জরুরি। ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ নেওয়ার পরও এবার প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন কোভিডে।
যদিও রোগ-জটিলতা তেমন বিশেষ নেই। সকলেই বাড়িতে থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন। তবে এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসক- সকলেই কিন্তু বারবার জোর দিচ্ছেন খাবারের উপরে। প্রাকৃতিক ভাবে নিজের শরীরে গড়ে তুলতে হবে আনাক্রম্যতা। সেই সঙ্গে মেনে চলতে হবে নির্দিষ্ট করোনা বিধিও। কাজের চাপে অনেকেই ঠিকমতো খাওয়ার সুযোগ পান না। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া, ঠিক মনতো ঘুম না হওয়া, এসব তো আছেই। যে কারণে আজকাল রোগজ্বালা বেশি।
জীবনযাত্রার কারণেই কিন্তু শরীরে দেখা দেয় একাধিক রোগ সমস্যা। শ্বাসকষ্ট, হাঁপানির মত সমস্যা। আমাদের হাতের চারপাশে এমন কিছু খাবার রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। কিন্তু নিজেরাও তার খোঁজ রাখি না। তাই আর্য়ুবেদ মতে দিন শুরু করুন এই পানীয়ের সঙ্গে। এতে বাড়বে শরীরের রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা। সহজে ঠান্ডা লাগা, হাঁচি, কাশির সমস্যাও আসবে না।
আদার রস ও অ্যাপেল সিডার ভিনিগার- ওমিক্রন প্রভাব ফেলছে শ্বাসযন্ত্রের একেবারে উপরের দিকে। আর যে কারণে হাঁচি, কাশি, গলা ব্যথা, সর্দির মত সমস্যাই সবচেয়ে বেশি। যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন প্রাথমিক পর্যায়ে সবরাই থাকছে গলা ব্যথার সমস্যা। এক্ষেত্রে আদার রস আর অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। আর গলাও আরাম পাবে।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার ভািরাস, ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে দারুণ কার্যকরী। সেই সঙ্গে আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আমাদের ঠান্ডা লাগার সমস্যা থেকে দূরে রাখে। সসপ্যানে জল ফুটতে দিন। এবার ওর মধ্যে থেঁতো করা আদা, আর এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার এই জল ছেঁকে নিয়ে ওর সঙ্গে এক চামচ অই্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খান। প্রয়োজনে সামান্য গোলমরিচের গুঁড়োও মেশাতে পারেন।
হলুদ- মধুর চা- হলুদের অনেক গুণ। যে কোনও ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া জনিত সংক্রমণ থেকে আমাদের দূরে রাখে হলুদ। সেই সঙ্গে হলুদের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। প্রতিদিন কাঁচা হলুদ একটুকরো চিবিয়ে খেতে পারলে অনেক রকম সমস্যার সমাধান হয়। গলা ব্য়থা, মাথা ধরা, কফ-কাশির সমস্যাতেও খুব ভাল কাজ করে হলুদ। দুকাপ জল গরকম করতে বসান। এবার ওর মধ্যে হলুদ আর গোলমরিচ থেঁতো করো দিন। এবার তা ভাল করে ফুটিয়ে ছেঁকে খেয়ে ফেলুন মধু মিশিয়ে।
আরও পড়ুন: Coffee Recipe: ওজন কমানোর অনেক উপায় তো ট্রাই করলেন, এবার প্রতিদিন সকালে খান এই ‘ম্যাজিক’ কফি!