পুজো শেষ হয়ে গেলেও উৎসবের মরশুমের রেশটা যেন এখনও কাটেনি। যদিও বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। তবে রবিবারগুলো জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া না করলে চলে না। রবিবার মানেই মাটন। কিন্তু রোজ রোজ খাসির মাংসের ঝোল কিংবা পাঁঠার মাংস কষা কারও ভাল লাগে না। বিরিয়ানি বানানোই যায়! কিন্তু একটু অন্য ধরনের মাটন পোলাও হলে কেমন হবে? তাই এই রবিবার বাড়িতে বানিয়ে নিন আখনি পোলাও। দেখে নিন রেসিপ…
আখনি পোলাও তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ:
১/২ কেজি পাঁঠার মাংস, ২টি পেঁয়াজ টুকরো করে কাটা, ১ টেবিল চামচ কিশমিশ, ২টো ডিম (সেদ্ধ করা এবং দু’টুকরো করে কাটা), ২টো কাঁচা লঙ্কা কুচি কুচি করে কাটা, ১০টা রসুন কোয়া কুচানো, ১ ইঞ্চি আদা থেঁতো করা, ১ ইঞ্চি দারুচিনি থেঁতো করা, ৬টি লবঙ্গ, ৪-৫টি ছোট এলাচ, ৩টি তেজপাতা, ১/২ কাপ ঘি, ২ কাপ বাসমতী চাল, ৪টি পেঁয়াজ কুচানো, স্বাদ অনুযায়ী নুন আর সামান্য চিনি।
আখনি পোলাও তৈরি করার সহজ পদ্ধতি:
চালটা ধুয়ে রেখে দিন, পাঁঠার মাংসটা ছোট ছোট করে কেটে সেদ্ধ করতে বসিয়ে দিন। একটা মসলিন কাপড়ে ৩টি লবঙ্গ, ১/২ ইঞ্চি দারুচিনি, ৪টি এলাচ থেঁতো করে বেঁধে দিন। এর সঙ্গে ১/২ ইঞ্চি আদা কুচি, ২টি টুকরো করা পেঁয়াজ, ২ কোয়া রসুনও দেবেন। এবার ওই মসলিন কাপড়টা বেঁধে মাংসের সঙ্গে দিয়ে দিন। জল কমে গেলে এবং মাংস প্রায় সেদ্ধ হয়ে এলে বড়ো হাতার সাহায্যে মাংসের স্টকটা আলাদা করে রাখুন। জলে মাংসের চর্বি ভেসে উঠলে সেটা ছেঁকে ফেলে দেবেন। আর মসলিন কাপড়ে বাঁধা মশলাগুলো পিষে নিন।
কড়াইতে তেল গরম করুন। এতে পেঁয়াজ কুচিগুলো ভাল করে ভেজে তুলে রাখুন। এবার ওই তেলেই সামান্য ঘি দিয়ে তেজপাতা দিন। এরপর এতে ওই বেটে রাখা মশলাটা দিয়ে দিন। মশলাটা ভাল করে কষতে থাকুন। কষা হয়ে গেলে এবার এতে মাংস ও স্বাদ অনুযায়ী নুন দিয়ে। মাংসটা ভাল করে কষবেন। মাংসের রঙ বদলাতে শুরু করলে এতে ধুয়ে রাখা চালটা দিয়ে দিন। সামান্য চিনি দিন স্বাদের জন্য। মিনিট দশেক নাড়াচাড়া করে এতে জল ঢেলে দিন। চাল ও মাংসটা এবার একসঙ্গে সেদ্ধ হবে।
পোলাও ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে দিন। এবার একটা পাত্র ঢাকা দিয়ে দমে বসান। পোলাও হয়ে এলে উপর দিয়ে ঘি ছড়িয়ে দিন। এবার উপর দিয়ে ভেজে রাখা পেঁয়াজের বেরেস্তা, কিশমিশ ও সেদ্ধ করে রাখা ডিম সাজিয়ে দিন। ব্যাস তৈরি আখনি পোলাও।