Dog Food: এও কি সম্ভব! তিনবেলা কুকুরের খাবার খায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্র, কারণটা জানলে আঁতকে উঠবেন

Bizarre: ইন্টারনেটে ওই অজ্ঞাত ছাত্রটির কাজকর্ম ভাইরাল হতেই নেটিজেনরা তাকে সতর্ক করতে শুরু করে। বারবার তারা ওই ছাত্রের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।

Dog Food: এও কি সম্ভব! তিনবেলা কুকুরের খাবার খায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্র, কারণটা জানলে আঁতকে উঠবেন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 26, 2022 | 3:57 PM

বিশ্ববিদ্যালয়ে (University)পড়ার খরচ কম নয়। বহু ছাত্র তাই পার্ট টাইম কাজ করে পড়াশোনার খরচ তোলার চেষ্টা করে। এমনকী কিছুটা হলেও বিনোদনের খরচাও উঠে আসে সেই সমস্ত কাজ থেকে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, মাসের প্রথমদিকে হাতে টাকা আসার সঙ্গে সঙ্গে অনেকটা বাড়তি খরচ করে ফেলে বহু ছাত্র। ফলে মাসের শেষ দিকে পকেটে পড়ে টান। তখন টাকা বাঁচাতে নানাবিধ উপায় অবলম্বন করতে হয় ছাত্রদের। কেউ হয়তো ধূমপান কমিয়ে দেয়। কেউ কাজ করার সময়টুকু ছাড়া ইন্টারনেট অফ করে দেয়। কেউ আবার রাস্তায় নানা পণ্য নিয়ে বেচতে বসে। কেউ কেউ জামাকাপড় কাচে না সারা মাস! এভাবে চূড়ান্ত পর্যায়ের কৃচ্ছ্রসাধন করে পড়াশোনা চালিয়ে যায় কেউ কেউ! তবে সম্প্রতি অর্থ বাঁচাতে এক ছাত্র যা করেছে তা চূড়ান্ত পর্যায়েরও খানিক উপরের ব্যাপার! কয়েকদিন আগেই ছাত্রটি স্বীকার করেছে, ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনারে সে শুধু ডগ ফুড (Dog Food) বা কুকুরের খাদ্য খেয়েই দিন অতিবাহিত করে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সে লিখেছে, একদিন সাহস করে এক পাত্র কুকুরের খাদ্য খাওয়ার পরেই তার মাথায় তিন বেলা কুকুরের খাবার খেয়ে থাকার পরিকল্পনা আসে। ‘একদিন এক বন্ধু আমাকে সাহস করে কুকুরের খাদ্য খাওয়ার চ্যালেঞ্জ দেয়। আমি কাজটা করার পরেই বেশ মজা লাগে। তারপর থেকেই সারাদিনে অন্তত একবার হলেও আমি কুকুরের খাবার খেয়ে পেট ভরাই।’ কুকুরের পেট ভরানোর জন্য তৈরি শুকনো খাবারগুলিই মূলত খায় সে। ‘আমি কোনও দিন ভাল খাবার চেখে দেখিনি’— জানিয়েছে ওই ছাত্র।

জানা যাচ্ছে, ওই ছাত্রের সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে বসবাসকারী বন্ধু ঘরের মধ্যে কয়েকবস্তা কুকুরের খাবার দেখে হতচকিত হয়ে যান। সে প্রায় অজ্ঞানই হয়ে যাচ্ছিল যখন শোনে— তাঁর ছাত্র বন্ধু নিজের খাওয়ার জন্য ডগ ফুড আনিয়েছে! অজ্ঞাত ছাত্রটি জানিয়েছে, ঘরে ঢুকে ডগ ফুডের স্তুপ দেখে আমার বন্ধু প্রশ্ন করে, কেন সেগুলি এনে রাখা আছে? আমি বলি এগুলি আমার জন্য। ও আশ্চর্য হয়ে চার অক্ষরের খারাপ কথা বলে!’

ইন্টারনেটে ওই অজ্ঞাত ছাত্রটির কাজকর্ম ভাইরাল হতেই নেটিজেনরা তাকে সতর্ক করতে শুরু করে। বারবার তারা ওই ছাত্রের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। একজন লেখেন, ‘কমদামি ডগ ফুডে প্রচুর অপ্রয়োজনীয় উপাদান থাকে যা হজম করা সম্ভব নয়। এই ধরনের খাদ্য খেলে মলের মাত্রা বাড়বে। শরীরে কোনও পুষ্টি উপাদানও ঢুকবে না। তাছাড়া মানুষের শরীরের পক্ষে উপযোগীভাবে খাদ্যগুলি তৈরিও করা হয় না। সাধারণত মৃত মুরগির ঠোঁট, পা, হাড়, পালক থেকে খাবারগুলি তৈরি হয়।’

প্রশ্ন হল কুকুরের খাদ্য কি মানুষের জন্য নিরাপদ?

বিশেষজ্ঞদের মতে, কুকুরের খাদ্য কখনওই মানুষ খাবে বলে তৈরি করা হয় না। ফলে মানুষের খাদ্য তৈরির জন্য যে সমস্ত নিয়ম কঠোরভাবে পালন করতে হয় তা কুকুরের খাদ্য তৈরির জন্য লাগু নয়। বিশেষ করে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে এই ধরনের খাদ্যে যাদের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা মানুষের নাও থাকতে পারে। এছাড়া কুকুরের খাদ্য তৈরি হয় মৃত প্রাণীর বিভিন্ন দেহবাশেষ থেকে। এছাড়া থাকে গম, ভিটামিন এবং খনিজ যাতে পোষ্যের শরীরে উপযুক্ত মাত্রা পুষ্টি উপাদান প্রবেশ করে।তবে কুকুরের পাকস্থলী বা শরীর যেভাবে ব্যাকটেরিয়াযুক্ত খাদ্য হজমের জন্য তৈরি থাকে তেমনটি থাকে না মানব শরীর। ফলে এই ধরনের খাদ্য থেকে স্বাস্থ্যহানি ঘটা আশ্চর্য নয়।