নরম, রেশমের মতো চুল কার না পছন্দ। কিন্তু এমন চুল সকলের হয় না। মূলত আর্দ্রতার অভাবে চুল শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। চুলে দেখা যায় ফ্রিজিনেস। শুষ্ক চুলের সমস্যা দূর করতে সবচেয়ে ভাল কাজ করে হেয়ার অয়েল। নিয়ম করে চুলে তেল মাখলে চুল ভাল থাকবে। শুষ্ক ও রুক্ষ চুলের সমস্যা এক নিমেষে দূর করে দেয় তেল। কিন্তু অনেকেই চুলে তেল মাখতে চান না। তেল মাখলেই শ্যাম্পু করতে হয়—এই কারণেও অনেকেই তেল ব্যবহার করতে চান না। আবার তেল মাখলে কপালে ব্রণ বেরোয়, স্ক্যাল্প চিটচিটে হয়ে যায়—এটাও অনেকের তেল না মাখার কারণ। তেল না মেখেও কিন্তু চুলের আর্দ্রতা ফেরানো যায়। যাঁরা তেল ব্যবহার করতে চান না, তাঁদের জন্য রইল বিকল্প।
টক দই: চুলের আর্দ্রতা ফেরাতে গেলে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। বাজারচলতি কন্ডিশনার ব্যবহার করার বদলে টক দই ব্যবহার করুন। পুষ্টিতে ভরপুর টক দই চুলের উপর প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের কাজ করে। চুলে ভাল করে টক দই মেখে ৩০ মিনিট বসে নিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।
কলা: কলার হেয়ার মাস্ক চুলকে ময়েশ্চারাইজ করে। কলায় থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান স্ক্যাল্পকে খুশকির সমস্যা দূর করে। পাকা কলা ম্যাশ করে নিন। এতে মধু মিশিয়ে চুলে মাখুন। ১ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন।
মধু: চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে মধু। এই প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে আপনি চুলকে নরম ও কোমল করে তুলতে পারেন। টক দইয়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে চুলে মেখে নিন। ৪৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিলেই পাবেন মনের মতো চুল।
অ্যালোভেরা: নিয়মিত চুলে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে শুষ্কভাবের হাত থেকে মুক্তি পাবেন। আপনি চুলে সরাসরি অ্যালোভেরা জেল মাখতে পারেন। ৩০ মিনিট রেখে দিয়ে শ্যাম্পু করে নিন। যে কোনও হেয়ার মাস্ক ব্যবহারের পর অবশ্যই শ্যাম্পু করবেন। আর শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করা জরুরি। তবেই ভাল থাকবে চুলের স্বাস্থ্য।