Skin Problem: বর্ষাতেও মুক্তি নেই, ঘামাচি-ত্বকে জ্বলুনি-লাল ব়্যাশের সমস্যা দিচ্ছে মাথাচাড়া! সমাধান মিলবে এই ঘরোয়া উপায়ে
বর্ষাকালেও অনেকে ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। বর্ষার আর্দ্র আবহাওয়া অনেকের শরীরে ঘামাচির সমস্যা তৈরি করে। অতিরিক্ত ঘাম, ত্বকের বায়ু চলাচলের অভাব এবং ময়লা জমে ত্বকের রন্ধ্র বন্ধ হয়ে গেলে ঘামাচি হয়।

গরমকালে অনেকের সারা শরীর জুড়ে ঘামাচি দেখা যায়। অসহ্য চুলকানি হয়, জ্বালাভাব হয়। বর্ষাকালেও অনেকে ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। বর্ষার আর্দ্র আবহাওয়া অনেকের শরীরে ঘামাচির সমস্যা তৈরি করে। অতিরিক্ত ঘাম, ত্বকের বায়ু চলাচলের অভাব এবং ময়লা জমে ত্বকের রন্ধ্র বন্ধ হয়ে গেলে ঘামাচি হয়। এতে ত্বকে লালচে দানা, চুলকানি ও জ্বালাভাব দেখা দেয়। বাজারে অনেক ওষুধ থাকলেও ঘরোয়া কিছু উপায় মেনে চললে সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
বর্ষাকালে ঘামাচির কারণ কী?
- বর্ষার আর্দ্র আবহাওয়া ও ঘাম জমা হওয়া
- টাইট ও বাতাস না চলা পোশাক পরা
- পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্নতা না রাখা
- দীর্ঘ সময় ভিজে থাকা বা ভিজে পোশাক পরে থাকা
কোন ঘরোয়া সমাধান সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে?
১. ঠান্ডা জলে স্নান
দিনে অন্তত দু’বার ঠান্ডা জলে স্নান করলে ঘামাচি কমে যায়। এতে ত্বক শীতল থাকে এবং রন্ধ্র পরিষ্কার হয়।
২. চন্দন গুঁড়ো ব্যবহার
চন্দন গুঁড়ো ও গোলাপজল মিশিয়ে ঘামাচির জায়গায় লাগালে ত্বক ঠান্ডা হয় এবং শরীরের প্রদাহ কমে।
৩. মুলতানি মাটির মিশ্রণ
মুলতানি মাটি ও জল মিশিয়ে একটি পেস্ট বানাতে পারেন। তারপর তা ত্বকে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বক ঠান্ডা রাখে ও ঘাম কমায়। আর কম ঘাম হলে ঘামাচির সমস্যাও কমে।
৪. অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা জেল ত্বককে ঠান্ডা ও আর্দ্র রাখে। ঘামাচির জায়গায় নিয়মিত তা লাগালে জ্বালাভাব ও লালচে ভাব কমে যায়।
৫. ওটমিল দিয়ে স্নান
ওটমিল গুঁড়ো জলে মিশিয়ে স্নানের আগে মাখতে পারেন। তা হলে ত্বক মসৃণ হয় এবং ঘামাচি ও চুলকানি কমে।
৬. পোশাকের দিকে নজর
সুতির ও হালকা পোশাক পরতে হবে। বৃষ্টির জলে ভেজা বা ঘামে ভেজা কাপড় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বদলে নিতে হবে। নইলে ঘামাচির সম্ভবনা বাড়ে।
৭. পর্যাপ্ত জল পান
শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পর্যাপ্ত জল পান করা জরুরি। এতে ঘামাচি হওয়ার প্রবণতাও কমে।
