Cooking Tips: বিরিয়ানি-পোলাওতে শুধু কেশর দিলেই চলবে না, এই উপায় না মানলে পরিশ্রম বৃথা যাবে
Saffron Uses: কেশরের উপকারিতা পেতে হলে গরম দুধে কেশর মিশিয়ে খাওয়া উচিত। কিংবা গরম জলেও কেশর ভিজিয়ে খাওয়া যায়। কিন্তু এই মশলার এত দাম যে রোজের জীবনে ব্যবহার করা সম্ভব নয়। তবে, মাঝেমধ্যে বিরিয়ানি, পোলাও কিংবা হালুয়া রান্না করলে কেশর ব্যবহার করতেই হয়।
বিশ্বের সবচেয়ে দামী মশলার তালিকায় উপরে রয়েছে কেশর। এই মশলা চাষ করাও যেমন কঠিন, তেমনও এর স্বাদ ও গন্ধকে টেক্কা দেওয়ার মতো কেউ নেই। তবে, কেশরের গুণাগুণ শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। রোগের ঝুঁকি কমাতেও কেশরের জুড়ি মেলা ভার। কেশরের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা এই মশলার গুণ বাড়িয়ে তোলে। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে কেশর। এমনকি কেশরে থাকা ক্রোসিন ও ক্রোসেটিনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ওজন কমাতে সাহায্য করে। মানসিক অবসাদ কমানো থেকে শুরু করে রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে কেশর। এই মশলা কিন্তু ত্বকের জন্যও উপকারী। কিন্তু এই উপকারগুলো কোনওদিনই পাবেন না যদি কেশরকে ঠিকমতো ব্যবহার না করেন।
কেশরের উপকারিতা পেতে হলে গরম দুধে কেশর মিশিয়ে খাওয়া উচিত। কিংবা গরম জলেও কেশর ভিজিয়ে খাওয়া যায়। কিন্তু এই মশলার এত দাম যে রোজের জীবনে ব্যবহার করা সম্ভব নয়। তবে, মাঝেমধ্যে বিরিয়ানি, পোলাও কিংবা হালুয়া রান্না করলে কেশর ব্যবহার করতেই হয়। এতেই খাবারে মনের মতো রং ও গন্ধ পাওয়া যায়।
রান্নায় অতিরিক্ত কেশর ব্যবহার করলে স্বাদ বিগড়ে যেতে পারে। রান্নায় সঠিক উপায়ে কেশর ব্যবহার না করলে কোনও লাভ নেই। এতে খাবারে মনের মতো রং বা সুগন্ধ কিছুই মিলবে না। রান্নায় কীভাবে কেশর ব্যবহার করবেন, রইল টিপস।
১) কেশর সরাসরি রান্নায় দেবেন না। এমনকি অনেকে দুধে বা জলে ভিজিয়েও কেশর রান্নায় মেশান। এই ভুল একদম করবেন না।
২) প্রথমে এক ননস্টিকের তাওয়া বা শুকনো খোলায় কেশরগুলো হালকা সেঁকে নিন। একদম কম আঁচ রাখবেন না। খেয়াল রাখবেন কেশর যেন পুড়ে না যায়।
৩) গরম কেশর হামান দিস্তায় দিয়ে ভাল করে গুঁড়ো করে নিন। এরপর এই কেশরের গুঁড়ো ঠান্ডা জল বা ঠান্ডা দুধে মিশিয়ে নিন। যে কোনও রান্নায় এভাবে কেশর ব্যবহার করুন।