Gold Jewellery: পায়ে সোনার গয়না পরা হয় না কেন বলুন তো? আসল কারণ জানেন না অনেকেই!
Gold Jewellery: বাড়িতে সোনা রাখা শুভ বলেও মনে করেন অনেকে। যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানে সোনার গয়না পরার কথা বলেন বাড়ির বড়রাও।
কথায় বলে সোনার চূড় বাঁকাও ভাল। এমনই দামি এই সোনা। সোনালী এই ধাতুর প্রতি মানুষের আগ্রহ কম নয়। আবার বিয়ে, অন্নপ্রাশন হোক বা অন্য কোনও অনুষ্ঠান, সোনার গয়ন পরে সাজতে কে না ভালবাসে বলুন। তাছাড়া চূর, হার, নেকলেস, আংটি, বোতাম, বাউটি, চেন, নোলক, টিকলি, দুল আরও কত রকম না গয়না রয়েছে। বাড়িতে সোনা রাখা শুভ বলেও মনে করেন অনেকে। যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানে সোনার গয়না পরার কথা বলেন বাড়ির বড়রাও।
আবার দৈনন্দিন জীবনেও রয়েছে সোনার পরার চল। বিশেষ করে বিবাহিত মহিলাদের সবসময় সোনার একটি গয়না পরে থাকার বলেন বাড়ির মা-ঠাকুমারা। সে হার, দুল, চুড়ি বা আংটি যাই হোক না কেন! কিন্তু সব জায়গায় পরার জন্য সোনার গয়না থাকলেও পায়ে কিন্তু কেউ সোনার গয়না পরেন না। পায়ে রুপোর মল বা আংগট পরার চলও রয়েছে। তবু সোনার গয়না পরতে দেখা যায় না কিন্তু। কেন এমন হয় জানেন?
আসলে হিন্দু শাস্ত্রে সোনা দেবী লক্ষ্মীর প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। অর্থাৎ সোনা সম্মান এবং সমৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত। পা শরীরের নীচের অংশ। তাই সেখানে কখনই ধন-ঐশ্চর্যের প্রতীক দেবী লক্ষ্মীর স্থান হতে পারে না। পায়ে সোনা পরাকে লক্ষ্মীর অপমান বলেই ধরে নেওয়া হয়। এতে দেবী রুষ্ট হতে পারেন তাই পায়ে সোনার গয়না পরার চল নেই।
আবার এর পিছনে আছে বৈজ্ঞানিক যুক্তিও। সোনা তাপ এবং বিদ্যুৎ পরিবাহী। পায়ে সোনার গয়না পরলে শরীরে শক্তির প্রবাহ ব্যাহত হয়। পায়ের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। যার কারণে শারীরিক অস্বস্তি হতে পারে। তাছাড়া সোনা নরম ধাতু। পায়ে ক্রমাগত ঘর্ষণের কারণে এর গুণমান নষ্ট হতে পারে। এই কারণেই পায়ে রুপোর গয়না পরা হয়। রুপো নেতিবাচক শক্তি শোষণ করে শরীর ঠান্ডা রাখে। ভাল ঘুম হয়। শরীরের শক্তিও বৃদ্ধি পায়।
আবার ইতিহাস বলছে পায়ে সোনার গয়না না পরার ইতিহাস বহু প্রাচীন। বৈদিক যুগেও এই প্রথা চালু ছিল। সেই সময়ের বিভিন্ন গ্রন্থে রাজা এবং দেবতাদের শরীরের উপরের অংশেই সোনার গয়না পরার বর্ণনা পাওয়া যায়। কিন্তু পায়ে সোনার গয়না পরার উল্লেখ বা প্রথা কিছুই খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায় না।