দেশের যে কোনও জায়গায় ভ্রমণের উপযুক্ত সময় হল মার্চ মাস। এই সময় আবহাওয়া খুব মনোরম থাকে। এই দুর্দান্ত সময়ে যদি উইকেন্ড-সহ (Weekend Trip) বেশ কিছুটা সময় ছুটি নিতে পারেন, তাহলে ভারতের বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় ও রোমাঞ্চকর জায়গায় ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে পারেন। সামনেই রয়েছে দোল (Holi 2022) উত্সব। এ বছর ১৮ মার্চ , শুক্রবার সারা দেশ জুড়ে পালিত হবে। তারপরই রয়েছে শনিবার ও রবিবার। এমন সুযোগ হাতছাড়া না করাই ভাল। তাই দোলের উইকেন্ডে কলকাতার কাছেপিঠে (West Bengal Tourism) কোথায় গেলে এক সুন্দর অনুভূতি সঞ্চয় করতে পারবেন, তা দেখে নিন…
পুরুলিয়া
বাঙালির জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি হল পুরুলিয়া। দোলের তিনদিনের ছুটিতে অনায়াসে ঘুরে ফেলতে পারবেন। হাওড়া থেকে চক্রধরপুর এক্সপ্রেসে সোজা পৌঁছে যান পুরুলিয়া। বসন্তের সময় তাই দেখা মিলবে পলাশেরও। যদি শুধুই বিশ্রামের উদ্দেশ্যে ছুটি কাটাতে চান তাহলেও বেছে নিতে পারেন পুরুলিয়াকে।
বাঁকুড়া
সুবজে ঘেরা ঘন জঙ্গল, লাল মাটির পথ, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, স্থাপত্য এবং পোড়ামাটির গল্প নিয়ে আপনাকে স্বাগত জানাতে তৈরি বাঁকুড়া। পশ্চিমবঙ্গের এমন একটি জায়গা ঘুরে দেখুন যা টেরাকোটার ভাষা বলে। যেখানে রয়েছে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাটির বাঁধ। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের ‘প্রাচীনতম’ পাহাড়ে হারিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। দোলের ইউকেন্ডে অনায়াসে ঘুরে নিতে পারেন বাঁকুড়া।
মুর্শিদাবাদ
মুর্শিদাবাদের ঐতিহাসিক শহরগুলিতে পৌঁছাতে কলকাতা থেকে সময় লাগে মাত্র ৬ ঘণ্টা। পশ্চিমবঙ্গের এই শহরের অলি-গলি এখনও কথা বলে ওঠে ইতিহাসের। ভাগীরথীর তীরে নবাবী ঐতিহ্য ও ইতিহাসকে একসঙ্গে নিয়ে বেঁচে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। বাংলার নবাবদের রাজধানী ছিল মুর্শিদাবাদ। আপনি যদি এই বাংলার ইতিহাসের খোঁজে থাকেন, দোলের ছুটিতে অনায়াসে ঘুরে ফেলতে পারবেন মুর্শিদাবাদ।
মৌসুনি দ্বীপপুঞ্জ
এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে দিঘা, তাজপুর, মন্দারমনি, চাঁদপুর অঞ্চলগুলো ঘিঞ্জি হয়েছে উঠেছে। তাই মানুষ নিজেই তৈরি করে নিয়েছে অফবিট। নামখানার কাছে মৌসুনি দ্বীপপুঞ্জ। এখানে রয়েছে সমুদ্রের ভিতর তাঁবুর ভিতর রাত কাটানোর সুযোগ।
সুন্দরবন ন্যাশানাল পার্ক
দোলের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন সুন্দরবন থেকে। বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী একটি স্থান হল সুন্দরবন। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ও নোনা জলের কুমিরের জন্য বিখ্যাত এই জায়গা। ভারতের তো বটেই বিশ্বের অন্য়তম বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য রয়েছে এখানে। বৃহত্তম ব-দ্বীপ এই এলাকায় বাঘ ও কুমির ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পাখি,সরীসৃপ।
মন্দারমনি
কলকাতা থেকে মাত্র ৪ ঘণ্টার সময়ের ব্যবধানে পৌঁছানো যাবে মন্দারমনিতে। শরীর ও মনের শান্তির জন্য এই সময় মন্দারমনি হল পারফেক্ট ডেস্টিনেশন। বঙ্গোপসাগরে পা ডুবিয়ে নিরিবিলিতে সময় কাটানোর সমস্ত ব্যবস্থা এই মুহূর্তে তৈরি রয়েছে মন্দারমনির সব হোটেলগুলিতে। সমুদ্রের বুকে সূর্যাস্ত কিংবা সূর্যোদয়ের দৃশ্য মিস করবেন না যেন।
আরও পড়ুন: হাইকিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন? ‘ব্যাগপ্যাক’-এর সময় যে বিষয়গুলি খেয়াল রাখবেন…