Sikkim: হ্রদ, ঝর্না‌, পাহাড়, জঙ্গল আর কাঞ্চনজঙ্ঘা! নির্জনতার খোঁজে পাড়ি দিন ছায়াতালে

TV9 Bangla Digital | Edited By: megha

May 02, 2023 | 3:07 PM

Offbeat Destination: হি পাতালের মধ্যে অন্তর্গত এই ছায়াতাল। সিকিমের কোলে এক চিলতে স্বর্গ। ছোট একটা হ্রদ নিয়ে গড়ে উঠেছে গোটা গ্রাম। সিকিমের অন্যান্য পাহাড়ি গ্রামগুলোর মতো জনপ্রিয় না হলেও এই ছায়াতাল খুব সুন্দর একটি পর্যটন কেন্দ্র।

Sikkim: হ্রদ, ঝর্না‌, পাহাড়, জঙ্গল আর কাঞ্চনজঙ্ঘা! নির্জনতার খোঁজে পাড়ি দিন ছায়াতালে

Follow Us

কংক্রিটের জঙ্গল ছেড়ে নির্জনতার খোঁজে অনেকেই পাড়ি দেন পাহাড়ে। সব শৈলশহরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুঁজে পাওয়া গেলেও প্রশান্তির খোঁজ খুব একটা মেলে না। তার চেয়ে পাহাড়ি গ্রামগুলো অনেক বেশি সুন্দর এবং নিরিবিলি। এমনই একটি পাহাড়ি গ্রাম সন্ধান রয়েছে আপনার জন্য। সিকিমের ছায়াতাল। সবুজ আর পাহাড়ে ঘেরা ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। সিকিমের অন্যান্য পাহাড়ি গ্রামগুলোর মতো জনপ্রিয় না হলেও এই ছায়াতাল খুব সুন্দর একটি পর্যটন কেন্দ্র।

হি পাতালের মধ্যে অন্তর্গত এই ছায়াতাল। সিকিমের কোলে এক চিলতে স্বর্গ। ছোট একটা হ্রদ নিয়ে গড়ে উঠেছে গোটা গ্রাম। ‘তাল’ অর্থাৎ লেক। এই হ্রদের জন্যই গ্রামের নাম ছায়াতাল। এলাচ ও কিউইয়ের চাষ হয় ছায়াতালে। জঙ্গলের পথ ধরে হাঁটলে রাস্তায় দেখা হবে নদীর সঙ্গে। চাইলে নদীতে পা ডুবিয়ে জিরিয়ে নিতে পারেন কিছুক্ষণ। গ্রামের আর এক প্রান্তে রয়েছে একটি মনেস্ট্রি। মনেস্ট্রির জায়গাটা খুব নিরিবিলি ও শান্ত। চারদিক পাহাড় ও জঙ্গলে ঘেরা। পর্যটকদের আনাগোনা খুব কম। মনেস্ট্রির ভিতরে রয়েছে বৌদ্ধ মূর্তি। ভিতরটা খুব সুন্দর করে সাজানো-গোছানো। ছায়াতাল যেমন সুন্দর, তেমন এখানে পাখির ডাক ছাড়া কোনও কোলাহল পাওয়া যায় না। আর এই নির্জনতার মাঝে বসে দেখা যায় শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা।

ছায়াতালে দেখার মতো রয়েছে আরও একটি জিনিস। ছায়াতালের পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসছে পাহাড়ি ঝর্না। ঝর্নার জলকে কাজে লাগিয়ে ঘোরানো হচ্ছে বৌদ্ধ চক্র। ছায়াতালে সারা দিন-রাত এভাবেই ঘোরে বৌদ্ধ চক্র। দেখতেও লাগে সুন্দর। আর হি বাজার থেকে ছায়াতাল যাওয়ার পথেও পড়ে সুন্দর এক ঝর্না। সেখানে দাঁড়িয়ে তুলে নিতে পারেন সেলফি। এছাড়া ঘুরে আসতে পারেন শ্রীজুঙ্গা পার্ক থেকে। ছায়াতালের রাতের দৃশ্য আরও মোহময়ী। পূর্ণিমা থাকলে চাঁদের আলোয় ধরা পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার এক অন্যরূপ। ছায়াতাল থেকে ট্রেক করে আসতে পারেন হি-বার্মিওক থেকে। এই হি-বার্মিওকে দাঁড়িয়ে আপনি কাঞ্চনজঙ্ঘার আরও সুন্দর দৃশ্য দেখতে পাবেন। এছাড়া এই গরমে ট্রেক করতে পারেন ভার্সেতে। এই ভার্সে হল রডোডেনড্রনের স্বর্গোদ্যান।

নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছায়াতালের দূরত্ব ১৪৫ কিলোমিটার। গাড়িতে সময় লাগে প্রায় ৫ ঘণ্টা। শেয়ার গাড়িতে আসতে চাইলে শিলিগুড়ি থেকে জোরথাং হয়ে আপনাকে পৌঁছাতে হবে ছায়াতালে। আবার চাইলে পেলিং ঘুরেও পৌঁছাতে পারেন ছায়াতালে। ছায়াতালের খুব কাছেই অবস্থিত বার্মিওক, রিনচেনপংয়ের, পেলিং, দরাপ এবং আরও অনেক জায়গা। ছায়াতালে থাকার জন্য হোমস্টের সুবিধা রয়েছে। সেখানে থাকা-খাওয়ার খরচ মাথাপিছু ১,৫০০-২,০০০ টাকা।

Next Article