Sikkim-Dzongu: লেপচাদের শেষ গ্রামে বেড়াতে গেলে হাতে রাখুন পাঁচদিন, কীভাবে প্ল্যান করবেন জংগু ট্রিপ?

Offbeat Destination: ব্যস্ত জীবনযাত্রা থেকে পাঁচ দিনের ছুটি বের করে নিতে পারেন, তাহলেই একমাত্র জংগুর প্ল্যান করা ভাল। জংগুর উপবিভাগে মাঙ্গান, মংতম, তিনভং, কুসং এবং লিংথেমের মতো কিছু পাহাড়ি গ্রাম রয়েছে। এই গ্রামে একরাত করে কাটালে তবেই উপভোগ করা যাবে জংগু।

Sikkim-Dzongu: লেপচাদের শেষ গ্রামে বেড়াতে গেলে হাতে রাখুন পাঁচদিন, কীভাবে প্ল্যান করবেন জংগু ট্রিপ?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 20, 2023 | 12:29 PM

ভ্রমণপিপাসুরা নিত্যনতুন জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন। আর এখন অফবিট পর্যটন কেন্দ্রেরও অভাব নেই। বরং, এখন হাতের নাগালেই গড়ে উঠেছে নানা পর্যটন কেন্দ্র। দক্ষিণে বিভিন্ন সমুদ্র সৈকত থেকে শুরু করে উত্তরের পাহাড়ি গ্রামগুলো হয়ে উঠেছে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। আর তার সঙ্গে পা মিলিয়েছে সিকিমের পাহাড়ি জনপদগুলোও। খরচ উনিশ-বিশ কিন্তু কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য ‘গ্যারান্টি’। আর প্রয়োজন শুধু পারমিটের। তবে, এমন গ্রাম খুব কম রয়েছে, যেখানে শুধু লেপচা উপজাতিদের বাস। যে গ্রামে গেলে সাক্ষী থাকা যাবে প্রাচীন লেপচা সংস্কৃতির। তেমনই একটি পাহাড়ি গ্রাম হল জংগু। আর এটা পশ্চিম সিকিমের কোলেই অবস্থিত।

ব্যস্ত জীবনযাত্রা থেকে পাঁচ দিনের ছুটি বের করে নিতে পারেন, তাহলেই একমাত্র জংগুর প্ল্যান করা ভাল। কারণ জংগুর উপবিভাগে মাঙ্গান, মংতম, তিনভং, কুসং এবং লিংথেমের মতো কিছু পাহাড়ি গ্রাম রয়েছে। তাই জংগু বেড়াতে গেলে কোনওভাবেই এই গ্রামগুলো এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। গ্যাংটক থেকে শুরু হয় জংগুর যাত্রা। যদিও গ্যাংটক থেকে জংগুর দূরত্ব মাত্র ৭০ কিলোমিটার। মাঙ্গান থেকে লিংথেমের দূরত্ব মাত্র ১১ কিলোমিটার। জংগু যাওয়ার জন্য আপনাকে অগ্রিম পারমিট করাতে হবে এই মাঙ্গান থেকে।

নিউ জলপাইগুড়ি থেকে জংগু যাওয়ার পরিকল্পনা করলে একরাত কাটাতে হবে লিংথেমে। কারণ এখানে পৌঁছাতেই বিকেল পার করে যাবে। চাষবাদই এই গ্রামের বাসিন্দাদের প্রধান জীবিকা। তাই পাহাড়ের ধাপে ধাপে দেখা মেলে প্রচুর চাষ জমির। আর এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা সহ বিভিন্ন শৃঙ্গ দেখা যায়। গ্রামের মধ্যে রয়েছে প্রাচীন মনেস্ট্রি, যা ১৭০০ দশকে তৈরি। সেখানেও যেতে পারেন পরদিন সকালে। এই লিংথেম ঘুরে পৌঁছে যেতে পারেন জংগু উপবিভাগের অন্যতম প্রাচীন গ্রাম তিনভং। দূরত্ব মাত্র ৬ কিলোমিটার। মাঝে পড়বে মংতম গ্রাম। এই মংতমে নদী পেরিয়ে যেতে হয় তিনভং।

তিনভংয়ে লেপচা উপজাতিদের বাস। ১৯৬০ সাল থেকে এখানে তাঁদেরই বসবাস। তাই এই গ্রামে গেলে লেপচাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। গ্রামের এক পাশ দিয়ে বইছে তিস্তা আর অন্যদিকে থলুং চু নদী। লিংথেমের মতো তিনভং থেকেও দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা সহ বিভিন্ন পর্বত শৃঙ্গ। এখানেও চাষবাদই প্রধান জীবিকা। আর এখন ইকো-ট্যুরিজ়ম জন্য অনেকেই হোমস্টের ব্যবসা শুরু করেছেন। কিন্তু লেপচাদের আতিথেয়তা আপনাকে মুগ্ধ করবে।

তিনভং থেকে ঘুরে নিতে পারেন জংগুর জনপ্রিয় হট স্প্রিং। কাঞ্চনজঙ্ঘা ছাড়া এটাই জংগুর প্রধান আকর্ষণ। এছাড়া রয়েছে থলুং নদী, যা গিয়ে মিশেছে লিঙ্গজিয়া জলপ্রপাতে। আর ঘুরে দেখতে পারেন লেপচা মিউজিয়াম। থলুং মনেস্ট্রি, লিংজে জলপ্রপাত ইত্যাদি। তিনভংয়ে রাত কাটিয়ে পরদিন পৌঁছে যেতে পারেন কুসং। গাড়ি রাস্তা ছাড়াও হাঁটা পথেও পৌঁছে যাওয়া যায় কুসং গ্রাম। এটাই জংগু। যেহেতু জংগু উপবিভাগে অনেকগুলো পাহাড়ী গ্রাম রয়েছে, তাই পাঁচ দিন ছাড়া অসম্ভব এই ট্রিপ।