AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kinnaur: হোলি নয়! ফাগুলিতেই কিন্নরীরা মেতে ওঠেন রঙের উৎসবে

Holi in Himachal Pradesh: হোলির সময় আপনি যদি কিন্নরে যান, তাহলে হিমাচলি সংস্কৃতির এক অন্য রূপ দেখতে পাবেন।

Kinnaur: হোলি নয়! ফাগুলিতেই কিন্নরীরা মেতে ওঠেন রঙের উৎসবে
কিন্নরে রঙের উৎসবে মহিলারাImage Credit: responsible tourism India
| Edited By: | Updated on: Mar 18, 2022 | 5:27 PM
Share

বৈচিত্রময় দেশে রঙিন উত্‍সবের সমারোহ থাকবেই। দেশজুড়ে হোলি (Holi 2o22) পালিত হলেও যেখানে যান না কেন, সব জায়গায় একইভাবে পালিত হয় না। হোলির সঙ্গে কৃষ্ণের কাহিনি যেমন জড়িত, তেমনি বসন্তের আগমনে মেতে উঠে আবির খেলার দৃশ্যেও দেখতে পাবেন। আমাদের পশ্চিমবঙ্গে যেমন দোল, তেমন উত্তরপ্রদেশে লাঠমার হোলি। আবার গোয়ার শিগমো উত্‍সব। উৎসবের নাম আর উৎযাপনের পদ্ধতি যাই-ই হোক না কেন, আজ রঙের উৎসব। সব কিছু ভুলে গিয়েছে আজ রঙিন হয়ে ওঠার দিন। তবুও ভারতের এমনও জায়গা রয়েছে যেখানের হোলি সব চাইতে আলাদা। তেমনই একটি জায়গা হল হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) কিন্নর (Kinnaur)।

হোলির সময় আপনি যদি কিন্নরে যান, তাহলে হিমাচলি সংস্কৃতির এক অন্য রূপ দেখতে পাবেন। কিন্নরের সাংলা উপত্যকা হল স্পিতি উপত্যকার প্রবেশদ্বার এবং সবুজে মোড়া এক স্বর্গ। এখানের পর্বতমালা, সবুজ উপত্যকা আর রাতের আকাশ যে কারোর মন কেড়ে নিতে বাধ্য। এটি হিমাচলের এমন একটি জায়গা হিন্দুধর্ম এবং বৌদ্ধধর্ম একসঙ্গে সুন্দরভাবে বিকাশিত হয়েছে। তারই এক ঝলক দেখা যায় হোলির দিন।

হোলিতে যদি কোনও সময় হিমাচল প্রদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তাহলে কিন্নরকে রাখুন বাকেট লিস্টে। তবে এর আগে আপনাকে এর সঠিক লোকেশন জানতে হবে। কিন্নরে অবস্থি সাংলা ভ্যালি। বাসপা নদীর তীরে অবস্থিত এই সবুজ উপত্যকা এখানের স্মৃতিস্তম্ভ এবং মন্দিরগুলির জন্য বিখ্যাত। রঙের উৎসবে এই উপত্যকাই আরও রঙিন হয়ে ওঠে।

ফাল্গুন মানে এই হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন গ্রাম সহ কিন্নরেও ফাগুলি উৎসব উদযাপিত হয়। যেখানে শয়তানের মাস্ক পরে নেতিবাচক শক্তিকে দূর করা হয়। বাঙালির ন্যাড়াপোড়ার মত এই উৎসবেও কাঠ পোড়ানোর রীতি রয়েছে। হিমাচলি সংস্কৃতিতে এই ফাগুলি উৎসবেরই একটি অংশ হোলি। চারদিন ধরে ফাগুলি উৎসব পালিত হয়। সেখানেই উৎসবের তৃতীয় দিনে পালিত হয় রঙের উৎসব।

হোলির এক রাত আগে গ্রামের সবাই একত্রিত হয়ে কাঠ পোড়ায়। তারপর গ্রামবাসীর মধ্যে বিতরণ হয় ফাসুর। ফাসুর হল এখানে স্থানীয় মদ। এরপর হোলির দিন সকলে জড়ো হয় মন্দিরে। তারপরেই শুরু হয় রঙের উৎসব। এর পাশাপাশি নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থাপন করা হয় রামায়ন। গ্রামের মহিলারা নৃত্য করেন। এক সপ্তাহ ধরে চলে এই উৎসব উদযাপন।

আরও পড়ুন: ৬০০ বছর ধরে হিমাচলিরা নেতিবাচক শক্তিকে দূর করে ‘শয়তানের’ মাস্ক পরে

আরও পড়ুন: পাহাড় চূড়োয় চায়ের ঠেক! চা-আড্ডায় গিনেস বুকে এবার রেকর্ড এভারেস্টের