Mt. Everest: পাহাড় চূড়োয় চায়ের ঠেক! চা-আড্ডায় গিনেস বুকে এবার রেকর্ড এভারেস্টের
Guinness World Record: পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের ওপর জমেছে চায়ের আড্ডা। আর এটাই 'বিশ্বের উচ্চতম চায়ের ঠেক' হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে।
এক কাপ চায়ে আড্ডা জমে উঠে পারে, এটা নিশ্চয়ই আপনিও বিশ্বাস করেন। কিন্তু সেটা কি স্থান, কাল, পাত্র নির্বিশেষে? বাঙালি হয়ে আপনি অবশ্যই বলতে পারেন ‘আলবাত’। কিন্তু বিশ্বের উচ্চতম চায়ের ঠেক (Tea Party) কোথায় জানেন? পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের (Mt. Everest) ওপর জমেছে চায়ের আড্ডা। আর এটাই ‘বিশ্বের উচ্চতম চায়ের ঠেক’ হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে (Guinness World Record)।
২০২১ সালে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২১,৩১২ ফুট উচ্চতায়, মাউন্ট এভারেস্টের দু’ নম্বর বেস ক্যাম্পে আয়োজিত করা হয়েছিল একটি ‘টি পার্টি’। গত বছরের এই চায়ের ঠেকের নাম গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে উঠল চলতি বছরে। ২০২১ সালে মাউন্ট এভারেস্টের দু’ নম্বর ক্যাম্পে এই চায়ের ঠেক আয়োজন করেছিলেন আমেরিকার অভিযাত্রী অ্যান্ড্রু হিউ এবং তাঁর সহঅভিযাত্রীরা। সেখানেই গরম পানীয়র সঙ্গে স্ন্যাকসের আয়োজন করেছিলেন তাঁরা।
বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ, সেটা আরোহণ করা তো আর মুখের কথা নয়। দুর্গম রাস্তা। খারাপ আবহাওয়া। মাইনাসের নীচে তাপমাত্রা। প্রতি ভুল পদক্ষেপে অপেক্ষা করছে মৃত্যু। তার মধ্যে দিয়েই হেঁটে চলাই এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। এর মধ্যে দিয়ে অ্যান্ড্রুরা কীভাবে আয়োজন করলেন এই টি পার্টি?
এভারেস্ট চড়তে গেলে পেরোতে হয় নানা দুর্গম পথ। এর মধ্যেই পড়ে খুম্বু আইসফল। জানা গিয়েছে, এই টি পার্টি আয়োজন করা আগে অ্যান্ড্রুরা প্রবল তুষারপাত এবং ঝড়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন। শেরপা আর চমরিগাইয়ের সাহায্যে যাবতীয় সামগ্রী আনা হয়েছিল এভারেস্টের দ্বিতীয় বেসক্যাম্পে। ভারী মালপত্র নিয়ে খুম্বু আইসফলের মত দুর্গম পথও তাঁরা পেরিয়েছেন সাফল্যের সঙ্গে। এটাই ছোট বিষয় নয়। গত বছর বসন্তে যে কাজটা অ্যান্ড্রুরা করে দেখিয়েছেন, সেটাই এই বছর বসন্তে জায়গা করে নিল গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে।
View this post on Instagram
অ্যান্ড্রু জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে দীর্ঘদিন পর্বত আরোহণ বন্ধ ছিল। তখন পর্বত অভিযানের চাইতেও অভিযাত্রীদের সঙ্গ না পাওয়া বেশি যন্ত্রণাদায়ক ছিল। তাই এখান থেকেই অ্যান্ড্রুর মাথায় জন্ম নেয় এই টি পার্টির ধারণা। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে এই চায়ের ঠেক জায়গা করে নেওয়া পর অ্যান্ড্রু তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। যেখানে তিনি লিখেছেন যে, “যখন বিশ্ব থমকে গিয়েছিল, আমি যে সব পর্বতে আরোহণ করেছি সেখানে আর অ্যাডভেঞ্চার ছিল না, তখন কোভিডের জন্য বিচ্ছিন্নতা এবং স্থিরতার মধ্যে আমি পাহাড়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তাভাবনা করার সময় পেয়েছি।”
করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল একাধিক পর্বত অভিযান। বিশ্বের জনপ্রিয় পর্বত অভিযান হল সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট। প্রতি বছর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে নামজাদা পর্বত আরোহণকারীরা আসেন এভারেস্ট জয় করতে। অ্যান্ড্রু হিউ হলেন তাঁদের মধ্যেই একজন। ২০১৯ সালে তিনি প্রথম এভারেস্ট জয় করতে আসেন। কিন্তু সেই বছর ব্যর্থতা নিয়েই ফিরতে হয়। তারপর থেকে শুরু হয় লকডাউন। কিন্তু প্রস্তুতি বন্ধ করেননি তিনি। ২০২১ সালে পুনরায় শুরু করে এভারেস্ট অভিযান। সেই সময়ই এভারেস্টের দ্বিতীয় ক্যাম্পে তিনি আয়োজন করেন টি পার্টির।
আরও পড়ুন: পাহাড় চূড়ায় প্রেম, প্রকৃতির কোলে বসন্ত! দোল কাটিয়ে আসুন পলাশের দেশে